TRENDING:

Sati Pith: ঈশানী নদীর বাঁকে জঙ্গলে ঘেরা অট্টহাস! সতীর ৫১ পীঠের এক পীঠ! একবার গেলেই মুগ্ধ হবে মন 

Last Updated:
Sati Pith: দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির প্রাঙ্গণে অতিথি নিবাসের ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে এখানে থাকতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হয়।
advertisement
1/5
ঈশানী নদীর বাঁকে জঙ্গলে ঘেরা অট্টহাস! সতীর ৫১ পীঠের এক পীঠ! একবার গেলেই মুগ্ধ হবে মন 
গ্রামের শেষ প্রান্তে অবস্থিত অট্টহাস মন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রচলিত আছে বহু পৌরাণিক কাহিনি। বিশ্বাস করা হয়, এখানে পড়েছিল দেবী সতীর ঠোঁট। তাই এই স্থান সতীপীঠ হিসেবে পরিচিত। ঈশানী নদীর বাঁকে জঙ্গলাকীর্ণ পরিবেশে মহিষমর্দিনী রূপে পূজিতা হন দেবী। মন্দির সেবকদের মতে, দেবী এখানে স্বয়ংভূ অর্থাৎ নিজে থেকেই প্রকাশিত। ফলে মন্দিরটির সঠিক বয়স নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
2/5
পুরাণ মতে, মহাদেব শিবের প্রথমা স্ত্রী সতী স্বামী নিন্দা সহ্য করতে না পেরে দেহত্যাগ করেন। প্রিয়তমাকে হারিয়ে শোকে ও ক্রোধে মহাদেব শুরু করেন মহাপ্রলয়ঙ্করী তাণ্ডব নৃত্য। মহাবিশ্বকে রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্র নিক্ষেপ করেন। দেবী সতীর দেহ খণ্ড খণ্ড হয়ে ৫১টি অংশে বিভক্ত হয়ে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। সেইসব স্থানই হয়ে ওঠে শক্তিপীঠ। পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম সংলগ্ন দক্ষিণডিহি গ্রামে তেমনই এক শক্তিপীঠের অবস্থান অট্টহাস সতীপীঠ। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
3/5
অট্টহাস সতীপীঠ শুধু দেবীর মূল মন্দিরেই সীমাবদ্ধ নয়। এর পাশাপাশি রয়েছে নাটমন্দির, কালীমন্দির এবং পঞ্চমুণ্ডির আসন। প্রতিবছর দোল পূর্ণিমার সময় এখানে মহাপুজোর আয়োজন হয়, যা এক বিশেষ আধ্যাত্মিক আবহ তৈরি করে। শান্ত-নির্জন পরিবেশে ভক্তরা এই মন্দিরে এসে অনুভব করেন এক অনন্য শান্তি আর ভক্তির আবেশ।তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
4/5
মন্দিরের সেবক রামজি মহারাজের কথায়, “এগুলো পৌরাণিক জায়গার ইতিহাস সাল-তারিখ দিয়ে মাপা যায় না। প্রাচীনকালে আমরা শুনেছি দেবী সতীর ঠোঁট এখানে পতিত হয়েছিল। তখন থেকেই মা এখানে পূজিত হচ্ছেন।” এই কথার মধ্যেই ফুটে ওঠে অট্টহাস মন্দিরের ঐতিহ্য আর প্রাচীনত্ব।তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী
advertisement
5/5
দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির প্রাঙ্গণে অতিথি নিবাসের ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে এখানে থাকতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হয়। পরিচয়পত্র থাকা আবশ্যক, আর সূর্যাস্তের আগে অতিথিদের প্রবেশ করতে হয় মন্দিরে। সূর্যাস্তের পর আর কেউকে অনুমতি দেওয়া হয় না। অতিথি নিবাসে থাকার জন্য নির্দিষ্ট কোনও মূল্য ধার্য নয় ভক্তদের স্বেচ্ছা অনুদানই গ্রহণ করা হয়। ভোগ প্রসাদ গ্রহণের জন্য অবশ্যই আগে থেকে ফোন করে জানাতে হয় (মন্দির কর্তৃপক্ষের নম্বর: 9635469904)। প্রকৃতির নীরবতা, ঈশানী নদীর বাঁকের অপরূপ সৌন্দর্য আর শক্তিপীঠের আধ্যাত্মিক আবহ, সব মিলিয়ে অট্টহাস মন্দির এক অনন্য দর্শনীয় স্থান। তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Sati Pith: ঈশানী নদীর বাঁকে জঙ্গলে ঘেরা অট্টহাস! সতীর ৫১ পীঠের এক পীঠ! একবার গেলেই মুগ্ধ হবে মন 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল