নিমতিতা জমিদার বাড়ির পুজো ৩৫০ বছরের প্রাচীন...! জৌলুস হারালেও আছে ঐতিহ্য, এবার পুজোয় ঘুরে আসুন একদিন
- Published by:Sanjukta Sarkar
- hyperlocal
- Reported by:Tanmoy Mondal
Last Updated:
Durga Puja 2025: মুর্শিদাবাদের প্রাচীন রাজ বাড়ির মধ্যে অন্যতম নিমতিতা জমিদার বাড়ির বয়স ৩৫০ বছর। প্রাচীনত্বের সঙ্গে জমিদারবাড়ি আজ জৌলুস হারিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। যদিও বর্তমানে এই বাড়ি হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। কিন্তু হেরিটেজ তকমা পেলেও জৌলুস হারিয়েছে এই পুজো।
advertisement
1/9

নিমতিতা, তন্ময় মন্ডল : মুর্শিদাবাদের প্রাচীন রাজ বাড়ির মধ্যে অন্যতম নিমতিতা জমিদার বাড়ির বয়স ৩৫০ বছর। প্রাচীনত্বের সঙ্গে জমিদারবাড়ি আজ জৌলুস হারিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। যদিও বর্তমানে এই বাড়ি হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। কিন্তু হেরিটেজ তকমা পেলেও জৌলুস হারিয়েছে এই পুজো।
advertisement
2/9
৩৫০ বছর আগে গৌরসুন্দর চৌধুরী ও দ্বারকানাথ চৌধুরীর হাতে তৈরি হয়েছিল এই রাজবাড়ি। এখন যদিও পেশাগত কারণে রাজ উত্তর সূরীরা থাকেন অন্যত্র। একসময় রাজপ্রাসাদের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতো রাজকীয় বৈভব। কিন্তু, আজ সে বিবর্ণ। নিষ্ঠুর কাল কেড়ে নিয়েছে তার যৌবন।
advertisement
3/9
জরাজীর্ণ কঙ্কালসার নিমতিতার রাজবাড়ি যেন কোনও ক্রমে দাঁড়িয়ে রয়েছে জানা-অজানা ইতিহাসের নানা সাক্ষী নিয়ে। একসময় বাংলা নাটকের আঁতুড়ঘর ছিল এই রাজবাড়ি। সংস্কৃতির সঙ্গে এই রাজবাড়ির যোগও দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতা আন্দোলনেও প্রভাব ছিল এই রাজবাড়ির। এই বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন কাজী নজরুল ইসলাম। ক্ষিরোদ প্রসাদ বিদ্যাবিনোদ, শিশির কুমার ভাদুড়ীর নাটক মঞ্চস্থ হত এখানে।
advertisement
4/9
বিশ্ববিখ্যাত চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় তাঁর দেবী ও জলসাঘর সিনেমার শুটিং করেছিলেন এখানে। অতীত গৌরবের স্মৃতি বুকে আঁকড়ে থাকা এই রাজবাড়িকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে হেরিটেজ কমিশন। আগামী দিনে জেলার অতীত ইতিহাস জানুক বর্তমান প্রজন্ম। পর্যটন মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠুক মুর্শিদাবাদ।
advertisement
5/9
পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে এলাকায় আর্থিক সামাজিক আরও উন্নতি হবে বলেই ধারণা এলাকার বাসিন্দাদের। তবে দুর্গাপুজোর সময় বহু সাধারণ মানুষ উপস্থিত হন এই পুজো দেখতে। বসে ছোট ছোট দোকান নিয়ে মেলা। তবে পুজোর চারদিন দুর্গাপুজোতে মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা।
advertisement
6/9
এই বাড়ির এক পাশে রয়েছে ঠাকুর দালান। এখন কোনও রকমে চলছে পুজোর কাজ। সেই পুরনো জাঁকজমক আজ না থাকলেও পুজো কিন্তু চলে আসছে একই নিয়ম নিষ্ঠা মেনে। এই অঞ্চলে এক সময় একমাত্র রাজবাড়িরই পুজো হত। ১০১ঢাক সহযোগে পূজো সুচনা করা হত ।সেখানে অংশ নিত গ্রাম ছাড়িয়ে দূরদূরান্তের মানুষও।
advertisement
7/9
পুজোর ক’দিন নববধূর সাজে সেজে উঠত এই রাজবাড়ি। ষষ্ঠীর দিন হত মায়ের আবাহন, গ্রামের মানুষের পাত পড়ত রাজবাড়িতেই। পুজো শেষে ছাড়া হত নীলকণ্ঠ পাখিও। কালের নিয়মে আজ সবই ম্লান।বর্তমানে গৌর সুন্দর চৌধুরীর চতুর্থ প্রজন্ম এই পুজো করে। বাপ-ঠাকুরদার আমলের এই পুজো তারা ফেলতে না পারলেও এই পুজোতে নেই তার পুরনো গৌরব।
advertisement
8/9
পুজোর জন্যই তারা সুদূর কলকাতা থেকে নিমতিতা আসেন। এখনও একচালার দেবী প্রতিমা তৈরি হয়। প্রতিমা শিল্পীও বংশানুক্রমিক ভাবে এই কাজ করে আসছেন। বারোয়ারি পুজো যতই হোক আজও এখানে রাজবাড়ির প্রতিমাদর্শন ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ। ইতিহাসের পাতা যেভাবে জীর্ণ হয়ে যায় ঠিক সেভাবেই কালের গর্ভে চলে যেতে বসেছে মুর্শিদাবাদের গৌরব নিমতিতা রাজবাড়ি।
advertisement
9/9
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লর্ড কর্নওয়ালিশের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সূত্র ধরে ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এই জমিদারির সূচনা হয়। নিমতিতা জমিদারির মূলপ্রবর্তক গৌরসুন্দর চৌধুরী ও দ্বারকানাথ চৌধুরী যাঁদের নামে শতাব্দীতে প্রাচীন ও প্রখ্যাত নিমতিতা জি, ডি ইনস্টিটিউশন রয়েছে। এই বাড়িতেই জলসাঘরের শ্যুটিং করেছেন সত্যজিৎ রায়। শ্যুটিং হয়েছে দেবী, তিনকন্যা ইত্যাদি সিনেমার। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই রাজবাড়ি পয়েন্ট থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক সহায়তা করে ভারত।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
নিমতিতা জমিদার বাড়ির পুজো ৩৫০ বছরের প্রাচীন...! জৌলুস হারালেও আছে ঐতিহ্য, এবার পুজোয় ঘুরে আসুন একদিন