আর এই প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার দুধারে ভীড় জমায় মানুষজন। আতশবাজি প্রদর্শন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে এই প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লোপ পেয়েছে এই পুজোর আভিজাত্য এবং বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে সেই কুস্তিগীররাও। আজ আর কুস্তিগীরদের কেউ নেই। কিন্তু নতুন প্রজন্ম সেই মোটা কালীর তকমা দেওয়া কালীপুজো আজও করে চলেছেন। এই মোটা কালী বর্তমান উচ্চতা ২২ ফুট থেকে ২০ ফুটে কমিয়ে এনেছেন উদ্যোক্তারা কেবলমাত্র বিসর্জনের সুবিধার জন্য। একসময় পুজো হতো মানিকপুরের মাঠে কিন্তু কোর্ট কেস কাছারিতে জর্জরিত হওয়ার পর সেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন উদ্যোক্তরা। তারা এখন এই কালীপুজো করেন ওই চত্বরের রাস্তার পাশে। সেই মোটা কালীর প্রস্তুতি ইতিমধ্যে চলছে জোর কদমে। প্রায় একমাস ধরে গড়ে তোলা হচ্ছে এই কালী প্রতিমা তবে গরুর গাড়িতে।
advertisement
এই মোটা কালির উদ্যোক্তা তারাপদ দাস বলেন একসময় এলাকার উঠটি তরুণ কুস্তিগীররা এই পুজো করত। সেই থেকে এই কালি প্রতিমার নাম হয় মোটা কালি। কিন্তু আস্তে আস্তে তাদের এই পুজো এখন আমরা বহন করে চলেছি। তবে তাদের সেই পুজো মত কালির আখ্যায়িত মোটা কালী আজও একই ভঙ্গিমায়। এবছর আমাদের ৫৫ বছরের পা রেখেছে যার বাজেট সাড়ে ৩ লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকার মত এবং নিয়ম রীতি-নীতি মেনে প্রতিমা বিসর্জন শোভাযাত্রা হবে গরুর গাড়িতে।
Partha Mukherjee