প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাসকয়েক আগেই ইংরেজি বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাঁওতালি বিভাগের অধীন Centre for Adivasi Studies and Museum এর পক্ষ থেকে যথাক্রমে, ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইন্দ্রনীল আচার্য এবং নৃতত্ত্ব (Anthropology) বিভাগের অধ্যাপক সুমহান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। অবশেষে, গত ২৪ মার্চ ও ২৮ মার্চ যথাক্রমে ইংল্যান্ড ও জার্মানির এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ইন্দ্রনীল আচার্য এবং অধ্যাপক সুমহান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়ে লোকভাষা, লোকসংস্কৃতি ও ভারতীয় সঙ্গীত বিষয়ে যৌথ পাঠদান প্রক্রিয়া চালানোর বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করা হয়েছে।
advertisement
এই বিষয়ে ড. আচার্য জানিয়েছেন, "মূলত ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার আদিবাসী ভাষা ও সংস্কৃতি তথা লোক শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে যৌথ পাঠদান প্রক্রিয়া ও ক্ষেত্র সমীক্ষা চালানোর জন্যই এই উদ্যোগ। মাস ছয়েকের মধ্যেই এই পাঠদান প্রক্রিয়া শুরু হবে আপাতত অনলাইনে। তবে, ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সহ পড়ুয়ারা এখানে আসবেন। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে একসঙ্গে ক্ষেত্র সমীক্ষা চালানো হবে। তবে, ইউরোপে চতুর্থ ঢেউয়ের একটা প্রভাব আছে। তা কেটে গেলেই সম্ভবত ওনারা আসবেন। আগামী বছরের গোড়ার দিকে এই সমগ্র পাঠদান প্রক্রিয়া বিষয়ে মৌ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা হয়েছে। তারপর, ওনাদের পক্ষ থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আর্থিক অনুদানও পাঠানো হতে পারে।"
এই নিয়ে গর্বিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিবাজী প্রতিম বসু। তিনি জানিয়েছেন, "বাংলা তথা মেদিনীপুরের কাছে এ এক পরম গৌরবের বিষয়। শিক্ষা সংক্রান্ত আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে আমাদের পড়ুয়ারা যেমন সমৃদ্ধ হবে; ঠিক তেমনই, বাংলার লোকসংস্কৃতি পৌঁছে যাবে বিশ্বের দরবারে। সর্বোপরি, শিক্ষা ও সংস্কৃতির অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটবে এবং সেখানে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। ড. বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. আচার্য সহ আমি আমাদের অধ্যাপক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাকর্মীদের এজন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।"
Partha Mukherjee