প্রসঙ্গত, স্কুলের বন্ধ ঘরে সংক্রমণের একটা ভয় থেকেই যায়। তাই স্কুলের ঘরে নয়, বরং পার্ক বা খোলা মাঠ বা অন্য কোনও খোলামেলা জায়গায়, পাড়া ধরে ধরে স্বল্প সংখ্যক শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই 'পাড়ায় শিক্ষালয়' শুরু করছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর(West Medinipur News)। খোলা আকাশের নিচে, প্রকৃতির অঙ্গনে একদিকে যেমন শিশু শিক্ষার্থীরা খোলা মনে পড়াশোনা করতে পারবে, ঠিক তেমনই থাকবেনা সংক্রমণের ভয়। শিক্ষক, পার্শ্ব শিক্ষক বা শিক্ষা সহায়কেরা ক্লাস নেবেন বলে খবর। এই উদ্যোগে খুশি ঘরবন্দী শিক্ষক থেকে পড়ুয়া সকলেই। বিদ্যালয়ের মতোই ক্লাস হবে, তবে প্রকৃতির কোলে। উল্লেখ্য যে, গোটা রাজ্য জুড়ে যেভাবে বিদ্যালয় খোলার আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাতে এবার নড়েচড়ে বসেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রী।
advertisement
উল্লেখ্য যে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বন্ধ স্কুল কলেজ। মাঝেমধ্যে, নবম থেকে দ্বাদশ এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারলেও, একেবারেই স্কুলের মুখ দেখেনি প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা(West Medinipur News)। তাই এবার তাদের জন্য শুরু হচ্ছে 'পাড়ায় শিক্ষালয়'। রাজ্যের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
প্রায় ভেঙে পড়তে বসা শিক্ষা ব্যাবস্থায় কিছুটা হলেও আশার আলো জাগাবে এই কর্মসূচি, এমনটাই মনে করছেন শিক্ষক ও গবেষক মহলের একাংশ(West Medinipur News)। তবে, দুই মেদিনীপুরে আগেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, বিভিন্ন বিদ্যালয় তথা শিক্ষক মহাশয়দের আন্তরিক প্রচেষ্টায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের জোতহাড় জ্ঞানদাময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী-কে শিক্ষকরা, স্কুলের সামনেই গাছতলায় পড়াচ্ছিলেন। অভিবাবকদের অনুমতি নিয়ে, সপ্তাহে পাঁচদিন এই ক্লাস শুরু হয়েছিল।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ধলহরা হিন্দু বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০০ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পালা করে চলছিল পড়াশোনা পর্ব। শিশু শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনার পাঠ সম্পূর্ণ ভুলে না যায়, সেজন্যই অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে দুই মেদিনীপুরে এভাবেই শুরু হয়েছিল প্রকৃতির কোলে পাঠশালা(West Medinipur News)। আগামীকাল থেকে অনেকটা সেই ধাঁচেই রাজ্য জুড়ে শুরু হতে চলেছে 'পাড়ায় শিক্ষালয়'।
Partha Mukherjee