প্রসঙ্গত, প্রতিবন্ধী বা বিশেষভাবে সক্ষম মানুষের জন্য নির্দিষ্ট সরকারি প্রকল্প রয়েছে। হচ্ছে 'পাড়ার সমাধান' কিংবা 'দুয়ারে সরকার'। তবুও, গত প্রায় ৪০ বছর ধরে কিভাবে তাঁরা ন্যূনতম সরকারি সাহায্য বা প্রকল্পের বাইরে রয়ে গেলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন! অজিতের দাদা তরুণ রানা জানান, "ভাই অজিত ও বোন ঊষা ছোট থেকে মূক ও বধির। এছাড়াও, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ নয়৷ ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না (West Medinipur News)। ভাই অজিতের ভিক্ষের রোজগারে কোনওক্রমে পেট চলে এই পাঁচজনের"। এও বলেন, "আমি লেবারের কাজ করি এবং আমারও পরিবার রয়েছে৷ তাই আমিও তাদের সাহায্য করে উঠতে পারিনি। বহুবার নেতা, মন্ত্রী ও সরকারি আবেদন-নিবেদন করেছি ৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও সরকারি প্রকল্পে ওদের নাম ওঠেনি"।
advertisement
জানা গিয়েছে, কালগাঙ মালিয়াড়ার বাসিন্দা আকলু রানা'র ১২ টি ছেলে-মেয়ে। এদের মধ্যে ৬ জন ছেলে, ৬ জন মেয়ে। তাঁদের মধ্যে দুই ভাই-বোন মূক, বধির আর বিশেষ ভাবে সক্ষম। বাবা-মা মারা গেলে আরও কয়েকজন বোনের মৃত্যু হয়। তখন বাকিরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম থাকায়, যে যার মতো নিজের পরিবার নিয়ে এঁদের থেকে আলাদা হয়ে যায়৷ পাশের বুথের পঞ্চায়েত সদস্য নিরঞ্জন হালদার বলেন, "এর আগে ওই পরিবার খেতে পেত না। রাস্তার ধারে পড়ে পড়ে দিন কাটে। ওর বাবা বহুবার ভাতার আবেদন করেছিল৷ কিন্তু, শেষ পর্যন্ত হয়নি নানা কারণে। অকালে মারা যান ঊষা-অজিতের বাবা। এই অভিযোগ আমরা অনেকবার শুনেছি। আমরা বিষয়টা উপরমহলে জানিয়ে ব্যবস্থা নেব দ্রুত"। তবে, বর্তমান বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র জানিয়েছেন, "দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে"। আপাতত, তাঁর আশ্বাসই ভরসা। যদি একটু অন্তত 'আলো' আসে অজিত-ঊষার জীবনে! (West Medinipur News)
Partha Mukherjee