জেলার সদর শহর হওয়ায় মেদিনীপুরে একাধিক দৈনিক বাজার আছে। সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে বাজারগুলিতে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু পরিকাঠামোর তেমন উন্নত হয়নি। ফলে সমস্যা ক্রমশই বাড়ছিল। রোজের মাছ ও কাঁচা সবজি বেচা কেনার জন্য আছে কতোয়ালি বাজার, স্কুলবাজার, রাজাবাজার, গেটবাজার, কুইকোটা বাজার ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনও নেতানেত্রীর নয়, শহিদ দিবসে নাম না করে মমতাকেই কটাক্ষ শুভেন্দুর
advertisement
এতগুলো বড় বড় বাজারের পাশাপাশি মেদিনীপুর শহর ঘনবসতিপূর্ণ। ফলে পরিকাঠামো উন্নত না হওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলকেই অসুবিধা পড়তে হচ্ছিল। ব্যস্ততম রাস্তার ধার ঘেঁষে বসা সবজি, মাছ, মাংস ও ডিমের দোকানগুলিকে সরানোর দাবি ওঠে। এর পাশাপাশি সামান্য বৃষ্টি হলেই বাজারগুলিতে যাতায়াত কঠিন হয়ে যায়। এই অবস্থায় সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে মেদিনীপুর পুরসভা রাজ্য সরকারের কাছে একটি অত্যাধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির প্রস্তাব পাঠায়। তাতে সম্মতি দিয়েছে রাজ্য।
মেদিনীপুর পুরসভার প্রস্তাব অনুযায়ী রাজ্যের পুর ও মৎস্য দফতরের যৌথ আর্থিক সহায়তায় এই অত্যাধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ে উঠবে। তবে কোথায় এই মার্কেট কমপ্লেক্স হবে তা চূড়ান্ত হয়নি এখনও। প্রাথমিক পর্যায়ে পুরসভা ও রাজ্য মৎস্য দফতরের আধিকারিকরা পরিদর্শন করেছেন শহরের রাজাবাজার ও অরবিন্দনগরে থাকা একটি ফাঁকা জায়গা। জানা গিয়েছে প্রস্তাবিত মার্কেট কমপ্লেক্সটি চারতলা বিশিষ্ট হবে। পুরোটাই হবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। পুরসভা সূত্রে খবর, মার্কেট কমপ্লেক্সের নিচের তলায় থাকবে মাছের বাজার এবং উপরে তিনটি তলায় থাকবে সবজির বাজার। তিন বছরের মধ্যে কাজ সেরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
রঞ্জন চন্দ