কথিত, এই মন্দিরে ভক্তদের মনস্কামনা দেবী মনসা পূরণ করেন। তা সে সন্তান লাভ হোক অথবা বেকারত্ব দূরীকরণ, কিংবা সাংসারিক কষ্টই হোক না-কেন, অথবা অসুস্থতা থেকে মুক্তি- সবকিছুই। অনেক সময় বাড়ির গরু-ছাগল হারিয়ে গেলে ওই গরু-ছাগলের ব্যবহার করা গলার দড়ির টুকরো নিয়ে দেবীর কাছে খুঁজে দেওয়ার মনস্কামনা জানালেও দেবী তা পূরণ করেন। আবার, অনেকে আসেন মানত পূরণ করতে। অতীতে এই অঞ্চলটি জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। যা মা মনসার জঙ্গল নামেই পরিচিত ছিল।
advertisement
প্রায় ৪০০ বছর আগে এই মহিষা গ্রামটি ছিল জমিদার যোগেশ্বর রায়ের তালুক। কথিত আছে, একদিন ভোরে জমিদার স্বপ্নাদেশ পান যে ওই জঙ্গলে দেবী মনসা রয়েছেন। স্বপ্নাদেশে জমিদারকে দেবীর পূজার ব্যবস্থা করতে বলেন দেবী। সেই স্বপ্নাদেশ পেয়ে জমিদার জঙ্গল পরিষ্কার করে ওই অঞ্চলে দেবীর নিয়মিত পুজোর ব্যবস্থা করেন।বর্তমানে মা মনসার স্থান বলে যেখানে ভক্তরা পুজো করেন, সেখানে আগে ছিল এক বিরাট উইয়ের ঢিপি। কথিত আছে, ওই ঢিপির নীচে প্রচুর সাপ থাকত।
আজ আর সেখানে জঙ্গল নেই। নেই পুরোনো গাছগাছালিও। বর্তমানে, ওই উইয়ের ঢিপিকে কংক্রিটে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তৈরি করা হয়েছে পদ্মফুল। এই পদ্মফুল দেবী মনসার প্রতীক। শনিবার সকাল থেকে বহু ভক্তের ভিড় জমে ছিল এই মাদপুরের মনসা দেবীর মন্দিরে।
কেউ কেউ আবার মনস্কামনা জানিয়ে প্রতিষ্ঠিত পুকুর থেকে দণ্ডি কেটে মায়ের মন্দিরে আসে।সব মিলিয়ে বছরে নির্দিষ্ট দিনের পাশাপাশি শনি এবং মঙ্গলবার বেশ ভিড় জমে মনসা দেবীর মন্দিরে।