তবে এই ফলাফলের পেছনে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা অভিভাবক দের অবদান রয়েছে যথেষ্ট বলে মনে করে রৌনক। মাধ্যমিকে তার গৃহশিক্ষক ছিল ৭জন। তবে ফলাফল ভাল হওয়ায় খুশি রৌনকের পরিবারও। অন্যদিকে ৬৮৭ নং পেয়ে মাধ্যমিকে সপ্তম স্থান দখল করেছে মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি বাসিন্দা মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র রনিত সাউ। রনিত আগামীতে চিকিৎসক হতে চায়। ফলাফল প্রকাশের পর রনিত জানায়, প্রতিদিন সে ৭/৮ ঘন্টা পড়াশুনা করত। এবং প্রথম ১ থেকে ১০ এর মধ্যে স্থান দখল করার লক্ষ্য নিয়ে মাধ্যমিকে প্রস্তুতি নিয়েছিল রনিত। তাই সপ্তম স্থান দখল করে খুশি রনিত সহ তার পরিবার। রনিতের মাধ্যমিকের ফলাফলের জন্য প্রতিটি বিষয়ে একটি করে গৃহ শিক্ষক রাখা হয়েছিল। তবে রনিতের বাবা পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রতন সাউ রনিতের প্রধান অনুপ্রেরণা বলে জানিয়েছে রনিত।
advertisement
আরও পড়ুন: বস্তা কেটে পোশাক বানালেন উরফি জাভেদ! উঁকি দিচ্ছে স্তন! ভাইরাল টারজান-উরফি ভিডিও
রাজ্যের মধ্যে অষ্টম স্থান দখল করেছে মেদিনীপুরের অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র দেবমাল্য নিয়োগী, তার প্রাপ্ত নং ৬৮৬। দেবমাল্য জানিয়েছে, তার এই ফলাফলের জন্য যেমন তার পরিবারের ভুমিকা রয়েছে, তেমনই স্কুল শিক্ষকদের। দেবমাল্য প্রতিদিন ৮/৯ ঘন্টা করে পড়ত এবং তার গৃহশিক্ষক ছিল সাতজন।প্রসঙ্গত এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার ১১৮ জন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ছিল ২৭৮৯৫ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩১২২৩। এদের মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ২৭১১২ জন এবং ছাত্রী ৩০২৫৭, অকৃতকার্য হয়েছে ৪.৩৬ শতাংশ ছাত্র এবং ৫.৩৯ শতাংশ ছাত্রী। মেদিনীপুর সদর মহকুমায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০১৫ জন, খড়্গপুর মহকুমা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৭০০০ এবং ঘাটাল মহকুমার এবার ১১৯০৮ জন পরীক্ষার্থী দিয়েছে বলে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে।
Partha Mukherjee