তাকে ঘিরে উন্মাদনা থাকে গ্রামবাসীদের। পারিবারিক পুজো এখন সর্বজনীন রূপ পেয়েছে। প্রতিবছর এই দিনে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ মনস্কামনা পূরণের আশায় আসেন দেবীর কাছে।
জানা গিয়েছে, এ বছর ৬৮ তম বর্ষে পদার্পণ করল এই ডাকিনী মনসার পুজো। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তখন একান্নবর্তী পরিবার ছিল মাজী পরিবারে। পরিবারের এক সদস্যকে জ্যোতিষবিদ্যা শেখাতে জ্যোতিষবিদ বাড়িতে আসতেন। বাড়িতে চলত নানান ধর্ম আলোচনা, হরিনাম সংকীর্তন, জ্যোতিষচর্চা। এক কথায় মাজী পরিবারে ধর্ম আলোচনার আসর বসত। তখন থেকেই শুরু হয় দেবীর আরাধনা। ধীরে ধীরে পূজোর প্রসার হওয়ার পর গ্রামের পর গ্রাম দেবীর মহিমা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়।
advertisement
বৈষ্ণব মতে সংক্রান্তির আগের দিন সারারাত ব্যাপী চলে পূজার্চনা। চণ্ডীপাঠ, হোম, যজ্ঞ সহযোগে ঢাক কাঁসর বাজিয়ে সাড়ম্বরে আরধনা করা হয় ডাকিনী মনসার। বংশপরম্পরায় এই পুজো করে আসছেন পরিবারের সদস্যরা।
দেবীর মাহাত্ম্যের জন্যই দূর-দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। প্রতিদিন নিত্যপুজো হলেও বছরের একটি দিন আনন্দে মেতে উঠেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ