গবেষক এসব থেকেই শক্তি উৎপাদন করতে সচেষ্ট হয়েছেন। এই গবেষণায় সাফল্য পেয়েছেন। যদিও বর্জ্য থেকে শক্তি তৈরির পদ্ধতির কতকগুলি পর্যায় আছে। বর্জ্য পরিষ্কার করে, তাতে তাপ দিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কার্বন তৈরি করেছেন মনোজিত। বাজার থেকে বিভিন্ন ফলের খোসা, আখের ছিবড়া সংগ্রহ করে তা ল্যাবরেটরিতে পরিষ্কার করে, রাসায়নিক প্রক্রিয়া এবং হাই টেম্পারেচার অ্যানিলিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কার্বন উৎপন্ন করা হয়েছে। যে কার্বন, বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়, সেই কার্বনের মত করে তৈরি করা হচ্ছে বর্জ্য থেকে উৎপন্ন এই কার্বন। আইআইটি খড়্গপুরের গবেষণাগারে গবেষকেরা চার ভোল্টের বিশেষ নমনীয় সেল বানিয়েছেন। যেখানে ভোল্টেজ সংরক্ষণ করে রাখা যাবে বলে মত গবেষকের।
advertisement
পাশাপাশি গবেষকরা প্রযুক্তিতে তৈরি ন্যানো ম্যাটেরিয়ালস এই সেলের মধ্যে যুক্ত করেছেন, যা কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। এই ন্যানো ম্যাটেরিয়ালস এবং বর্জ্য থেকে পাওয়া কার্বনকে একসঙ্গেসংঘবদ্ধ করে বিশেষ সুপার ক্যাপাসিটর অথবা ব্যাটারি তৈরি করেছেন গবেষকেরা। যা পরবর্তীতে বিদ্যুতের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।বিজ্ঞানীর বক্তব্য, ফেলে দেওয়া মূল্যহীন বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে এনার্জি তৈরির ইচ্ছে থেকেই এই গবেষণা।
ইতিমধ্যেই এই গবেষণার কাজ সম্পন্ন করতে বাজার থেকে ফলের খোসা ও আখের ছিবড়ে সংগ্রহ করতে হয়েছে। সংগ্রহের পর সে সব বর্জ্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ফেলে ক্যাপাসিটর অথবা ব্যাটারি তৈরি করেছেন। তবে এখনও এই পদ্ধতি গবেষণার অধীন। আগামীতে এই বিশেষ প্রযুক্তি বাজারজাত হলে অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রঞ্জন চন্দ