উল্লেখ্য যে, গত ২০১৭ সালে লাইসেন্স বাতিলের পরও রমরমিয়ে সেন্টার চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পৌঁছে ছিল বিভিন্ন সময়ে। এজন্য, ২০২২ সালের আগেও ওই সেন্টার-কে সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। অভিযোগ যে, বিভিন্ন সময়ে এই সেন্টার স্বাস্থ্য দফতর ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছে! মাঝেমধ্যেই ইংরেজিতে লেখা একটি করে নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হত (যেমন, বর্তমানেও একটি নোটিশ চেটানো আছে), "টেকনিক্যাল কারণে নতুন টেস্ট হবে না, তবে পুরানো রিপোর্ট ডেলিভারি করা হবে।" আর, এই নোটিশের আড়ালেই, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে সেন্টার-টি এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠে এসেছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি, অতিমারীর সময়ে কোভিড টেস্টও করা হয়েছে বলে অভিযোগ! এই বিষয়ে ভুক্তভোগী কেশপুরের জনৈক তন্ময় দোলই। তিনি জানিয়েছেন, "আমি জানতাম না। এস. চ্যাটার্জি নামে একজন চিকিৎসক ওখানে রিপোর্ট করাতে বলেছিলেন।" স্বাভাবিকভাবেই, অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে এই সেন্টারের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় কর্তৃপক্ষকে ফোন করা হলে সেন্টারের পক্ষ থেকে যদিও বলা হয়, "আমাদের সমস্ত কাজ বন্ধ আছে। তবে, রিনিউয়াল বা পুনর্নবীকরণের আবেদন করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য দফতরও জানে!" কিন্তু, ৫ বছর হয়ে গেল পুনর্নবীকরণ হয়নি, কবে হবে ঠিক হয়নি, সেন্টার খোলা কেন? সেন্টারের মালিকের দাবি, "বলছি তো সেন্টার বন্ধ আছে।" কিন্তু, রবিবার সন্ধ্যাতে ওই নম্বরে ফোন করলে, এক রোগীকে সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, "মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায় চলে আসুন টেস্ট করা হবে।" সেই কল রেকর্ডও এসে পৌঁছেছে সংবাদমাধ্যমের হাতে।
advertisement
সোমবার এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে ফোন করা হয়, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা-কে। তিনি জানান, "সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসার পর আমরা ওই সেন্টার সহ আরও একটি সেন্টার (নবোদয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার) বন্ধ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তারপরও সেন্টার চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মারাত্মক! অবিলম্বে স্বাস্থ্য দফতরের দল যাবে ওই সেন্টারে। ওই ধরনের যতগুলি সেন্টার আছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।" কিন্তু, এভাবে বছরের পর বছর ধরে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে যে সমস্ত স্বাস্থ্য কারবারিরা, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক পদক্ষেপ কি আদৌ নেওয়া হবে? তা নিয়েই সংশয়ে সাধারণ মানুষ।
Partha Mukherjee