অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গত ৬ ডিসেম্বর যে ১৭ টি ভবন বা মন্দির বা স্থাপত্য-কে 'হেরিটেজ' ঘোষণা করা হয়েছে, সেই তালিকায় আছে জেলাশাসকের বাংলো-টিও। 'হেস্টিংস হাউস' নামে খ্যাত এই বাংলাতেই থাকেন বর্তমান জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল সহ কয়েকজন অতিরিক্ত জেলাশাসক। প্রসঙ্গত, ওয়ারেন হেস্টিংস (Warren Hastings) ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম গভর্নর জেনারেল। তাঁর নামেই এই হেস্টিংস হাউস। পরবর্তী সময়ে, অনেক ব্রিটিশ জেলাশাসক এই বাংলোতে দিন কাটিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে, মেদিনীপুরের বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীরা পেডি, ডগলাস, বার্জ- এই তিন অত্যাচারী জেলাশাসককে হত্যাও করেছে! ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দিয়ে সুপ্রাচীন এই ভবনটিকেও হেরিটেজ মর্যাদা দেওয়ায় খুশি জেলা প্রশাসন থেকে জেলাবাসী।
advertisement
অপরদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের ঐতিহাসিক কর্ণগড় পরিদর্শন করলেন ASI (Archaeological Survey of India) এর এক প্রতিনিধিদল। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করেই এই প্রতিনিধি দল রানী শিরোমণি'র স্মৃতিধন্য কর্ণগড় পরিদর্শন করেন। সম্প্রতি, সুসজ্জিত পর্যটনস্থল রূপে এই গড় উদ্বোধন করেছেন জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, শিউলি সাহা থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে, শুধু পর্যটনস্থল নয়, ঐতিহাসিক এই গড় এএসআই-এর পক্ষ থেকে সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হোক, এই দাবি জানিয়ে আসছে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক সংগঠন ও শালবনীবাসী। ঐতিহাসিক এই কর্ণগড়ে খননকার্য চালানো হোক, এই দাবিও রাখা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোগলমারির মতোই এই গড়ে খননকার্য চালানো হলে, পরাধীন ভারতবর্ষের প্রথম রাজনৈতিক বন্দিনী রাণী শিরোমণি সহ রাজ পুরুষদের অনেক অজানা ইতিহাস উঠে আসবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্ট মহলের। এমনকি, রাণীর নেতৃত্বে দ্বিতীয় চুয়াড় বিদ্রোহের ইতিহাসও আলোকিত হবে বলে অভিমত ঐতিহাসিক ও গবেষকদের। হেরিটেজ জার্নি, অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় সমাজ থেকে শুরু করে আপামর শালবনী ও কর্ণগড়বাসীও তাই দাবি করছেন, ইতিহাসকে নিয়েই আরো সমৃদ্ধ হোক এই পর্যটনস্থল।
Partha Mukherjee