সোজা চলে গিয়েছে ওড়িশা ট্র্যাঙ্ক রোড, যা বর্তমানে রাজ্য সড়ক হিসেবে পরিচিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা বাজার সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্রমে গড়ে উঠছে আস্তাকুঁড়। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা, নারায়ণগড় ব্লকের অন্যতম একটি শহর। রয়েছে কলেজ, হাসপাতাল, বাজার, এমনকি ব্লক প্রশাসনের অফিসও। তবে নিত্যদিন নোংরা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে সমস্যায় পড়তে হয় বেলদার মানুষজনকে। ইতিমধ্যে সেই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল ব্লক প্রশাসনের তরফে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু করার চেষ্টা করেছিল প্রশাসন, তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: চার বছর ধরে পানীয় জল পায় না এখানকার মানুষ!
দিনের পর দিন বেলদা কালী মন্দিরস্থিত রাজ্য সড়কের পাশেই স্তুপ করে রাখা হয় নোংরা আবর্জনা। নিত্যদিন সেখানে জমানো হয় বেলদা বাজারের সমস্ত আবর্জনা। হোটেলের উচ্ছিষ্ট খাবার, নর্দমার নোংরা আবর্জনা, থার্মোকল, ডাবের খোল ইত্যাদি প্রতিদিনই ফেলে দিয়ে যাওয়া হয় এই রাস্তার পাশেই। যার ফলে পচা দুর্গন্ধে টেকা দায় এখানে। পাশেই রয়েছে মন্দির, আশ্রম, এমনকি জনবসতিও। রয়েছে একটি বেসরকারি গ্যাস অফিস এবং বেলদা ইলেকট্রিকের ডিভিশনাল অফিসও। স্বাভাবিকভাবে পথ চলতি মানুষদের নাকে চাপা দিয়েই পেরোতে হয় এই জায়গা। দ্রুত স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন সকলে।
এছাড়াও এই আবর্জনায় যখন-তখন লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। গরমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে একাধিক সমস্যায় ভুগতে হয় এলাকাবাসীকে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণের দাবি দ্রুত এই স্থান থেকে আবর্জনা সরিয়ে অন্যত্র খেলা হোক।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু হলে গৃহস্থলী কিংবা বাজারে নোংরা, আবর্জনা, প্লাস্টিক সংগ্রহ করে জৈব ভঙ্গুর পদার্থকে জৈব সারের রূপান্তর এবং জৈব অভঙ্গুর অর্থাৎ প্লাস্টিক জাতীয় আবর্জনাকে পুনর্নবীকরনের করা হবে।
আরও পড়ুন: ভাণ্ডার নিয়ে পা মেলালেন মা লক্ষ্মী! সে কী উৎসাহ
সাধারণ মানুষের দাবি, দ্রুত এই আবর্জনা পরিষ্কার করুক প্রশাসন।সকলের স্বার্থে মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্রকল্পে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন।তবে কবে মিটবে এই সমস্যা? কবে বাস্তবায়িত হবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প? তা সময় বলবে।
রঞ্জন চন্দ