চিৎকার চেঁচামেচী শুনে গ্রামের বাসিন্দারাও ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে৷ তাঁরাও দেখেন অনেকটা কুমীরের মতো দেখতে একটি প্রাণী গাছের ডাল আঁকড়ে ঝুলছে৷ মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বৈকণ্ঠপুর গ্রামে৷
আরও পড়ুন: সব গেল, সঙ্গে রেজাল্টও! নন্দীগ্রামের স্কুলে চোরের কীর্তিতে পড়ুয়াদের মাথায় হাত
advertisement
আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেন বন দফতরে৷ বনকর্মীরা এসে অবশ্য গ্রামবাসীদের আতঙ্ক দূর করে জানান, ওই প্রাণীটি একেবারেই হিংস্র নয়৷ কুমীর বলে যেটিকে গ্রামবাসীরা ভুল করছিলেন, সেটি আসলে গাগরোল নামেই পরিচিত৷ প্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা৷
আরও পড়ুন: গলা কি জীবনকৃষ্ণেরই, পরীক্ষার অনুমতি দিল আদালত!তৃণমূল বিধায়কের ফোনে কী পেল CBI?
স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন অবশ্য জানিয়েছেন, এতদিন নাম না জানলেও ওই প্রাণীটিকে এলাকায় মাঝে মধ্যে ঘুরতে দেখেছেন তাঁরা৷ এ দিন সম্ভবত শেয়ালের তাড়া খেয়ে প্রাণীটি গাছে উঠে পড়ে৷
মলয় ঘোষ নামে বন দফতরের এক কর্মী জানান, গাগরোল নামে এই প্রাণীটিেক ওই অঞ্চল থেকে আগেও উদ্ধার করে বন দফতরের পার্কে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা৷ মলয়বাবুর দাবি, গাগরোল আসলে মানুষের বন্ধু প্রাণী৷ কারণ তারা বিষধর, নির্বিষ সব ধরনের সাপকেই শিকার করে খায়৷ যদিও মানুষের কোনও ক্ষতি করে না গাগরোল৷