এজন্য একটি মাস্টার প্ল্যান নেওয়া হয়েছে। কোন জেলার কোন কোন ব্লকের মাটির গভীরে জলের স্তর নেমে গেছে, কোথায় পুকুর খনন করতে হবে, কোথায় চেক ড্যাম করতে হবে, কোথায় নদী থেকে খাল কেটে সেই জল সঞ্চয় করে চাষের কাজে লাগানো হবে, সেসব ঠিক করবেন দফতরের কারিগরি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও একই ভাবে ঝর্ণার জল, নদীর জল, চেক ড্যামের জল সংরক্ষণ করা হবে।
advertisement
মন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পঞ্চায়েত, উদ্যানপালন, পশুপালন, মৎস্য, কৃষি দফতরকে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো পাথুরে, কাঁকুরে, ল্যটারাইট এলাকায় জলতীর্থ, মাটির সৃষ্টি, জলছত্র, জল ধরো জল ভরো, এই প্রকল্পগুলিকে আরো সুচারুভাবে বাস্তবায়ন করা। কৃষি জমিতে সেচ দেওয়া, জলের ব্যবস্থা করা, মাটির তলার জলস্তরের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিয়েছেন।এদিনের আলোচনায় উঠে এসেছে কি অবস্থায় তাঁর দফতর কাজ করছে, কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আরো ভালো কাজ করা যাবে এবং এসব প্রকল্পের রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভাগীয় আধিকারিকরা তাঁদের রিপোর্ট জমা দেবেন।
জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড়ে ২০ হাজার একর জমিতে তাঁর দফতর সেচের ব্যবস্থা করায় সেখানে উদ্যান পালন বিভাগ ও কৃষি বিভাগ বহু গাছপালা করেছে। সারা রাজ্যে ৫৭.৩৭ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশ জমিতে সেচের ব্যবস্থা করে জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর। গত এক বছরে সারা রাজ্যে ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে।