পরাধীন ভারতবর্ষের অবিভক্ত মেদিনীপুরের কাঁথি যাওয়ার প্রবেশ দ্বার ছিল বেলদা। এই স্টেশন থেকেই সড়কপথে কাঁথি যাওয়া যেত। তাই বেলদা রেল স্টেশনের নাম ছিল কন্টাই রোড স্টেশন। বর্তমানে এই স্টেশনে নেমে সড়ক পথে যাওয়া যায় কাঁথি। তবে কন্টাই রোড স্টেশনের নাম স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বদল হয়। সেই বেলদা রেল স্টেশনের নাম ফের বদলের দাবি উঠেছে। নারায়ণগড়বাসীদের একাংশের দাবি, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক হেমচন্দ্র কানুনগোর নামে রাখা হোক স্টেশনের নাম। নারায়ণগড় ব্লকের রাধানগর গ্রামেই জন্ম হেমচন্দ্রের। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রানপুরুষ ছিলেন তিনি। জাতীয় পতাকার প্রথম স্কেচ রূপায়ন করেছিলেন হেমচন্দ্র। ক্ষুদিরাম বসুর অস্ত্রগুরুও ছিলেন তিনি। বিপ্লবী কাজের জন্য যাবজ্জীবন কারাবরণ করেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শেষ বয়সে একান্তে থাকতে রাধানগরে নিজের হাতে বাড়ি তৈরি করেছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর বসতভিটা হেরিটেজ না হওয়ায় ক্ষোভ আছে এলাকাবাসীর।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার সারদা মেলায় গেছেন কখনও? দেখে নিন এই মেলা কেমন হয়
এবার দাবি উঠেছে হেমচন্দ্রের নামে হোক বেলদা স্টেশনের নাম। নাম পরিবর্তনের দাবি তুলেছে বেলদার হেমচন্দ্র সাহিত্য সভা। সংগঠনটি জানিয়েছে, ২০০৩ সালে সংগঠন প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই নারায়ণগড় ব্লক ও বেলদা রেল স্টেশনের নাম পরিবর্তনের দাবি তুলেছে তাঁরা।
উল্লেখ্য, বাজেটে অর্থমন্ত্রী যে অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের কথা ঘোষণা করেছেন তাতে জায়গা পেয়েছে বেলদা স্টেশন। ইতিমধ্যে সেটি সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় লাইন হওয়ায় নতুনভাবে স্টেশনের কক্ষ বানানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আধুনিকীকরণেরও কাজ হবে বেলদা স্টেশনে। তাই ফের নাম পরিবর্তনের দাবি উঠেছে।
তবে আদৌ কি নাম পরিবর্তন হবে? ভুলতে বসা এই বিল্পবীর নাম কি মনে রাখবে পরের প্রজন্ম? তার উত্তর দেবে সময়।
রঞ্জন চন্দ





