গত বছর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কেশিয়াড়ি, মেদিনীপুর, শালবনী-সহ একাধিক জায়গায় সবুজ শাল জঙ্গলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নেপথ্যে থাকে বেশ কিছু মানুষের অতি উৎসাহে শুকনো পাতায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো ইচ্ছে। মুহূর্তের আনন্দের জন্য শুকনো পাতায় লাগিয়ে দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বনাঞ্চল। তবে এর থেকে কী কী ক্ষতি হতে পারে এই ধারণা আপনার আছে? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জঙ্গলের শুকনো পাতা বা কাঠে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তৈরি হয় কার্বন-ডাই অক্সাইড, যা ব্যাপক ক্ষতি করে পরিবেশে।
advertisement
আরও পড়ুন: হুগলিবাসীদের জন্য সুখবর! ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে সাজতে চলেছে কামারপুকুর, সুবিধা বাড়বে পর্যটকদের
শুধু তাই নয়, আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে এদিক ওদিক। যার ফলে ঘটতে পারে নানাবিধ দুর্ঘটনা। এছাড়াও কার্বন মনোক্সাইড-সহ বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয় বনাঞ্চলে আগুন লাগানোর ফলে। আখেরে সবুজ বনাঞ্চল থেকে অক্সিজেন নয়, পাওয়া যায় বিষাক্ত গ্যাস। এরকমই এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল গত সোমবার বিকেল নাগার পশ্চিম মেদিনীপুরের আড়াবাড়ির জঙ্গলে। স্থানীয়দের তৎপরতায় বন বিভাগ ও পুলিশের সহযোগিতায় যদিও আগুন আয়ত্ত্বে আনা সম্ভব হয় ওই দিন। তবে এই আগুন যদি ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে সমগ্র এলাকার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে জানেন বনাঞ্চলে আগুন লাগানোর ঘটনায় বিপন্ন হয় বন্যপ্রাণদের জনজীবন। জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের অধিকাংশ বনাঞ্চলে বসবাস হাতিদের, সেই বনাঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনায় বিপন্ন হয় তাদের প্রাণও। জঙ্গল থেকে লোকালয়ে হানা দেয় হাতির দল। ক্ষয়ক্ষতি করে সাধারণ মানুষের। জঙ্গলে আগুন লাগানোর কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বন্য পশুরা। স্বাভাবিকভাবে জঙ্গলে আগুন না লাগানো এবং জঙ্গলকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন সকলে।





