পুরুলিয়া: ১৮৯৭ সালে স্বামী বিবেকানন্দের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশন। মানুষের কল্যাণে সদা সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে রামকৃষ্ণ মিশন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গ্রামোন্নয়ন, আদিবাসী কল্যাণ, বুনিয়াদি উচ্চশিক্ষা প্রসারে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে তারা। রামকৃষ্ণ মিশনেরই আরেকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হল কল্যাণ। দীর্ঘ প্রায় ৪৩ বছর ধরে পুরুলিয়া জেলায় গ্রাম পুনর্গঠনের কাজে নিয়োজিত এই সংস্থাটি। রামকৃষ্ণ মিশন লোকোশিক্ষা পরিষদ নরেন্দ্রপুর অনুমোদিত ও রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ পুরুলিয়ার উপদেশ ও সাহায্য পুষ্ট কল্যাণ সংস্থা সুনামের সাথে স্বামী বিবেকানন্দের গ্রাম পুনর্গঠনের ভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। পুরুলিয়া জেলার গ্রামে গঞ্জে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে চলেছে তারা। সেই কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগেই আয়োজিত হয়েছে ৩৭ তম সারদা মেলা।
আরও পড়ুন: গ্যাস-বিদ্যুৎ নেই, নেই রাজ্যেই চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র
পুরুলিয়া শহরের বিবেকানন্দ নগরে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিনদিন চলবে এই মেলা। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এই মেলায় বহু মানুষ আসেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ রবিবার রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গনে নরনারায়ণ সেবারও আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির শুভারম্ভ হবে মানভূম ভিক্টোরিয়া স্কুলের ময়দান থেকে। একটি বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মাধ্যমে মানভূম ভিক্টোরিয়া স্কুল থেকে কয়েকশো মানুষ একযোগে আসবে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের প্রাঙ্গণে। ঈশ্বরের পায়ে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের পরেই শুরু হবে নরনারায়ণ সেবা। কয়েক হাজার মানুষ প্রতিবছর এই দিন আহার গ্রহণ করে থাকে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাঙ্গনে। আশেপাশের সমস্ত গ্রাম থেকে মানুষেরা এই দিন একত্রিত হন রামকৃষ্ণ মিশনে।
তিন দিনব্যাপী চলা এই উৎসবকে ঘিরে পুরুলিয়া জেলার মানুষদের মনে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এক প্রকার উৎসবের চেহারা নিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন চত্বর।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Purulia news, Ramkrishna Mission