মিড ডে মিলে আরশোলা পাওয়ার এই ঘটনাটি ঘটে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের কুঁয়াপুর পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। স্থানীয় বাসিন্দা সুমন রায়ের ছেলে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করে। সুমনবাবুর অভিযোগ, তাঁর ছেলের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে কৌটোয় করে মিড ডে মিলের খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে গিয়ে কৌটো খুলতেই দেখ যায় খিচুড়ির মধ্যে আস্ত একটা আরশোলা পড়ে আছে! ওই অভিভাবক জানান, আরশোলা সমেত খিচুড়ি তিনি সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে দেখান। সুমন রায়ের দাবি, তাঁর অভিযোগ পেয়ে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা ও রাঁধুনি অন্যান্য শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিড ডে মিলের খিচুড়ি খেতে নিষেধ করেন। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় ধামকুড়িয়া এলাকায়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন অভিভাবক থেকে শুরু করে এলাকাবাসী সকলে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা কাকলি চক্রবর্তী বলেন, "এক অভিভাবক বিষয়টি জানালে আমরা ভুল স্বীকার করে নিই। এই ঘটনা ঘটতেও থাকতে পারে। তবে আমরা তড়িঘড়ি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই খাবার না খাওয়ার জন্য নিষেধ করে এসেছি।"
advertisement
আরও পড়ুন: বিঘের পর বিঘে জমির পোস্ত নষ্ট করল আবগারি দফতর
মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা পাওয়ার ঘটনাটি জানতে পেরেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও অভিজিৎ পোড়িয়া। তিনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
মিড ডে মিলের রান্নায় হামেশাই পোকামাকড় এমনকি সাপ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে এই বাংলায়। এবার পাওয়া গেল আরশোলা। তাছাড়াও অপরিষ্কার রান্নাঘর, সঠিক পরিমাণে খাবার না দেওয়ার মত বহু অভিযোগ ওঠে। সেই সব কিছু খতিয়ে দেখতেই পুষ্টি বিশারদ সহ কেন্দ্রীয় দল এসেছে রাজ্যে। তারা জেলায় জেলায় গিয়ে স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঘুরে মিড ডে মিলের প্রকৃত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। ঠিক সেই সময় এমন কাণ্ড ঘটায় রাজ্য প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
রঞ্জন চন্দ