মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার সামনে এলেই দেখা মিলবে অনির্বাণের। কয়েক বছর আগেই হারিয়েছেন বাবাকে। মা বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ। অভিযোগ পত্র লিখে যে ক’টা টাকা জোটে তার সঙ্গেই মায়ের পেনশনের টাকায় চলে সংসার। মাধ্যমিক পাস অনির্বাণের কাজই হল দিনে কিংবা রাতে থানায় উপস্থিত থেকে সকলকে সাহায্য করা। অনির্বাণের বক্তব্য, দূর দুরান্ত থেকে আসেন অনেকে। তাঁরা কী ভাবে অভিযোগ পত্র লিখবেন, কাকে লিখবেন, বুঝে উঠতে পারেন না। তাঁদের সাহায্য করেন তিনি। শুধু দিনে নয়, রাতেও যখন কেউ বিপদে পড়েলে ফোন করে ডাকা হয় অনির্বাণকে।বছরের পর বছর বিনা মূল্যে কিংবা সামান্য টাকার বিনিময়ে পরিষেবা দিয়ে আসছেন অনির্বাণ। জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী তিনি। একটি পা নেই। কৃত্রিম পায়ে চলে তাঁর দিন যাপন। সেই সমস্যাকে দূরে ঠেলেই জীবন-যুদ্ধে সামিল তিনি।
advertisement
অনির্বাণের আক্ষেপ, বহুবার বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েও মেলেনি কোনও চাকরি। শুধু যে অভিযোগ পত্র লিখে পরিষেবা দিচ্ছেন তা নয়, থানার পুলিশ আধিকারীকদের গাড়ি ঢোকানো, বার ক, পার্কিংয়ের কাজও করছেন তিনি। তবে এ ভাবে আর কত দিন চলবে তা জানেন না তিনি নিজেও। সামান্য অস্থায়ী চাকরির আবেদন জানিয়েছেন অনির্বাণ।
রঞ্জন চন্দ