যারা ভাবেন উচ্চমাধ্যমিকে ফলাফল খারাপ হওয়ায়, তারা জীবন যুদ্ধে পিছিয়ে পড়েছেন, তাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দিশা দেখিয়ে দেন এই শিক্ষক। আর তেমন শিক্ষককেই এবার জাতীয় শিক্ষকের জন্য নির্বাচন করেছে কেন্দ্রের ‘Ministry of Skill Development and Entrepreneurship’।
দুর্গাপুরের মুচিপাড়ায় গভর্নমেন্ট আইটিআই কলেজের ইন্সট্রাক্টর রমেশ রক্ষিত। অটোমেশন বিষয়ক পিএলবি ল্যাবের মাস্টার ট্রেনার তিনি। ২০১০ সালে তিনি গড়িয়াহাট আইটিআইতে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে যোগ দেন। ২০১৮ সালে তিনি ইন্সট্রাক্টর ইলেকট্রিশিয়ান পদে যোগ দেন দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট আইটিআই কলেজে। জাতীয় শিক্ষক হতে চলা এই রমেশ বাবুর আদি বাড়ি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রাধাবিনোদপুরে।
advertisement
তবে বর্তমানে তিনি স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে দুর্গাপুরেই থাকেন। রমেশ বাবুর কথায়, ফলাফল খারাপ হওয়া মানেই জীবনে পিছিয়ে পড়া নয়। কিন্তু অনেক পড়ুয়ার উচ্চমাধ্যমিকে ফলাফল খারাপ হয়। তাদের মনোবল তলানিতে ঠেকে যায়। কিন্তু আমি ওদের বোঝায়, আইটিআই নিয়ে পড়াশোনা করেও জীবনে উচ্চ প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। তাতে পড়ুয়াদের মনোবল আবার চাঙ্গা হয়।
জাতীয় শিক্ষকের তকমা পাওয়ার বিষয়ে ইতিমধ্যেই মেল পৌঁছেছে রমেশ রক্ষিতের কাছে। দুর্গাপুর আইটিআইয়ের ইন্সট্রাক্টরের এই সম্মানের খবরে খুশির তার সমস্ত পড়ুয়ারা। ছাত্রদের মনোবল বাড়ানোর কারিগরের সাফল্যে খুশি তার পরিবার এবং আদি বাড়ির গ্রামের মানুষজনও। উল্লেখ্য, বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজ থেকে ১৯৯৫ সালে বিএসসি পাশ করেন রমেশ রক্ষিত।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের সফল কারিগর এবার সূর্য মিশনে! এই বিজ্ঞানীর জন্য ফের গর্বিত জেলাবাসী
১৯৯৮ সালে বিষ্ণুপুরের কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেন। তারপর বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ২০১০ সালে তিনি আইটিআই-এ ইন্সট্রাক্টর হিসেবে যোগদান করেন। তার অনেক সফল ছাত্র ডিআরডিও, সেল, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদে বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছে। কর্মরত রয়েছেন অন্যান্য সংস্থাতেও। ছেলে মেয়েদের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম হাতিয়ার মনোবল বাড়ানোর এই কারিগরের সম্মান প্রাপ্তিকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলেই।
Nayan Ghosh