দেশের ইস্পাত নগরী। রাজ্যের শিল্প নগরী। বাংলার মানচিত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শহর দুর্গাপুর। স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপুর স্টেশনটিরও গুরুত্ব অসীম। একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন থামে দুর্গাপুর স্টেশনে। তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ এই মুহূর্তে কলকাতার পরে দুর্গাপুরকে বাংলার এডুকেশন হাব, হেলথ হাব বললে ভুল হবে না। এই শহরেই রয়েছে একাধিক নামিদামি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। দেশের সেরা ৫ টি হাসপাতালের মধ্যে একটি রয়েছে দুর্গাপুরে।
advertisement
ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, আইন-সহ একাধিক বিষয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। রয়েছে এনআইটি-র মতো জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দুর্গাপুর থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে কাজী নজরুল বিমানবন্দর। অন্যদিকে রয়েছে পানাগর শিল্পতালুক। যে কারণে দুর্গাপুর স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র থেকে যাতায়াত বিভিন্ন কারণেই দুর্গাপুর স্টেশন ব্যবহার করেন বহু মানুষ। আর দীর্ঘ অপেক্ষা পরও সেই ব্রাত্য থেকে গেল দুর্গাপুর।
শুধু এটুকুই নয়। দুর্গাপুর স্টেশন ব্যবহার করে আশপাশের কয়েকটি জেলার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা যায় খুব সহজে। বীরভূম, বাঁকুড়া পুরুলিয়ার মত জেলাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে অনেকের ভরসা দুর্গাপুর। ফলে দুর্গাপুরে বন্দে ভারতের স্টপেজ না থাকায় হতাশ অনেকই। শহরের মানুষজন বলছেন, তারা আশা করেছিলেন বন্দে ভারতের স্টপ থাকবে দুর্গাপুরে। কারণ শতাব্দী, রাজধানীর মতো যে ট্রেনগুলি ভারতীয় রেলের অধীনে রয়েছে, সেই সমস্ত ট্রেনগুলিরও স্টপ রয়েছে দুর্গাপুরে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বন্দে ভারতের মতো ট্রেন দুর্গাপুর স্টেশনে থামবে, এমনটাই আশা ছিল সবার। আসানসোলে বন্দে ভারতের স্টপ থাকায় জেলাবাসী হিসেবে বেশ ভাল লাগছে। কিন্তু দুর্গাপুরে স্টপ না থাকায়, মন খারাপ হচ্ছে ততটাই।






