আদিবাসীদের এই দিনভর প্রতিবাদ কর্মসূচির জেরে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। এছাড়াও স্কুল-কলেজের পড়ুয়া, পর্যটক, অসুস্থ মানুষ সকলেই প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কোনও গাড়িকেই যেতে দিচ্ছেন না অবরোধকারীরা। এর জেরে জেলার বিভিন্ন রাস্তায় সার দিয়ে গাড়ির লাইন পড়ে গিয়েছে। এই অবরোধের জেরে হয়রানির মুখে পড়ে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন যাত্রীরা। যদিও পথচারীদের এই ক্ষোভকে আমল না দিয়ে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্তই অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: কিডনির সঙ্গে সংযোগ নেই মূত্রনালির! আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে সফল জটিল অপারেশন
সাঁওতালি ভাষায় পঠনপাঠন, ধর্মীয় সংস্কৃতির মর্যাদা সহ বেশকিছু দাবি অবরোধস্থলে তুলে ধরেছেন আদিবাসীরা। এই দাবি পূরণের লক্ষ্যে বুধবার 'চাক্কা জ্যাম' কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। গত বছর এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। অবরোধকারীদের দাবি, তাঁরা যে সমস্ত দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন, সেই সব দাবি নিয়ে প্রথমে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জেলা শাসক থেকে শুরু করে নবান্ন, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন বলে দাবি আদিবাসীদের।
আদিবাসীদের এই আন্দোলনের জেরে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের পাশাপাশি পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়াতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। এই আন্দোলন কর্মসূচির জেরে রাস্তায় বেড়ানো মানুষের কাহিল অবস্থা চোখে পড়ল আমাদের।
নয়ন ঘোষ