আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার থেকে সায়গল হোসেনকে ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লি। তার আগে পুরো আসানসোল স্টেশন নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সায়গল হোসেনকে নিয়ে আসা হয় আসানসোল স্টেশনে। তারপর সেখান থেকে শিয়ালদহ অমৃতসর-জলন্ধর এক্সপ্রেসে করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সায়গল হোসেনকে।
আরও পড়ুনঃ চড়চড়িয়ে বাড়বে ব্যাঙ্ক ব্যালান্স, সাফল্য আসবে কোন ফুল চাষে, জানলে চমকে যাবেন
advertisement
উল্লেখ্য, এ দিন কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ইডির আবেদনের ভিত্তিতে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। ছ'দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সায়গল হোসেনকে। তারপরেই দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু হয়। আসানসোল স্টেশনের ৪ নম্বর প্লাটফর্মে শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। কারণ সেখান থেকেই শিয়ালদহ অমৃতসর-জলন্ধর এক্সপ্রেসে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। সূত্রের খবর, পুলিশের ৮ সদস্যের একটি দল সায়গলকে নিয়ে দিল্লি যাবেন।
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্না! 'আটক' নাবালিকার মর্মান্তিক পরিণতি হেমতাবাদে
প্রসঙ্গত, এ দিন আদালতের নির্দেশ প্রভাব মাত্রই আসানসোল সংশোধনাগারের সামনে শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। নিয়ে আসা হয় বিশেষ প্রিজন ভ্যান। তারপর সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তা ঘেরাটোপের মাধ্যমে সাইগল হোসেনকে সেই প্রিজন ভ্যানে তুলে পুলিশকর্মীরা রওনা দেন আসানসোল স্টেশনের উদ্দেশ্যে। আসানসোল স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্ম ততক্ষনে নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে। বেশি সংখ্যক জিআরপি কর্মীদের মোতায়েন করা হয় স্টেশনের নিরাপত্তায়। চার নম্বর প্ল্যাটফর্মটিও নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। তারপর সেখান থেকেই জলন্ধর এক্সপ্রেসে সাইগল হোসেনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লি।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বেআইনি গরু পাচার এবং আর্থিক তছরুপের ঘটনার তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। বিচারাধীন বন্দি হয়ে সায়গল হোসেন ছিলেন আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে। কিন্তু ইডি আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, জিজ্ঞাসাবাদের সুবিধার্থে তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য। যদিও দিল্লি যাত্রায় বিপদের আশঙ্কা করে রাজ্য থেকেই তদন্তে সহযোগিতা করতে চেয়েছিলেন সাইগল। কিন্তু এ দিন আদালত কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ইডির আবেদনের ভিত্তিতে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তারপরের শুরু হয়েছে তোড়জোড়।
অনেকেই মনে করছেন, সায়গলের দিল্লি যাত্রায় বিপদের আশঙ্কা আগে থেকেই করছিলেন। ফলে দিল্লি না যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই চেষ্টা ব্যর্থ হল। এ দিন আদালত নির্দেশের পরে ছয় দিনের ইডি হেফাজতে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে। ফলে সায়গল হোসেনের তদন্তের গতিপ্রাকৃতি এখন কোন দিকে যায়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কি তাহলে শিয়রে সংক্রান্তি?
Nayan Ghosh