যেখানে পিকনিক করার পাশাপাশি রয়েছে আমোদ প্রমোদের নানান ব্যবস্থা। রয়েছে রাত্রি বাসার ব্যবস্থাও। সঙ্গে বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই দেউল পার্ক ঘুরে দেখতে দেখতে কখন সময় পেরিয়ে যাবে, তা টেরও পাবেন না। দেউল পার্ক অবস্থিত পশ্চিম বর্ধমান আর বীরভূমের সীমান্তে। অজয় নদীর পাড়ে রয়েছে দেউল পার্ক। নদী পেরোলেই পৌঁছে যাবেন বীরভূমে। ঐতিহাসিকদের মতে, দেউল পার্ক সংলগ্ন জায়গাটি ছিল রাঢ়বঙ্গের রাজা ইছাই ঘোষের রাজধানী। এই জায়গায় বসেই, রাঢ়বঙ্গের একাধিক জায়গায় নিজের শাসন বিস্তার করেছিলেন ইছাই ঘোষ।
advertisement
বর্গী আক্রমন থেকে নিজের রাজ্য রক্ষা করতে, তৈরি করেছিলেন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। ইট-চুনসুরকি দিয়ে বানিয়ে ছিলেন সুউচ্চ একটি টাওয়ার। এই ওয়াচ টাওয়ারটি ইছায় ঘোষের দেউল নামে পরিচিত। দেউল বা ওয়াচ টাওয়ারের নিচে একটি শিব লিঙ্গের অবস্থান রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ারটি কেন্দ্র করেই দেউল পার্ক তৈরি করা হয়েছে। শীতে দেউল পার্কে নানা রকমের, নানা রঙের ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার মত দৃশ্য। এছাড়াও এখানে হরিণ সংরক্ষণ করা হয়।
ভাগ্য ভালো থাকলে ময়ূরের দেখাও পেয়ে যাবেন। সব মিলিয়ে ইতিহাস, আধুনিকতা ও আধ্যাত্মিকতা মিলেমিশে তৈরি করেছে এক অপরূপ সুন্দর পরিবেশ। দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে মলানদিঘির রাস্তা ধরে আপনাকে দেউল পার্ক যেতে হবে। জেলা সদর আসানসোল থেকে আপনি ট্রেন অথবা গাড়ি নিয়ে চলে আসতে পারেন মুচিপাড়া। তারপর সেখান থেকে ট্রেকার ভাড়া করে, দেউল পার্ক পৌঁছে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ন্যূনতম পরিকাঠামোতে অতি বিরল ক্যান্সার সার্জারি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে
নিজের গাড়ি থাকলে তো কথাই নেই। কলকাতা থেকে আপনি যদি দেউল পার্কে আসতে চান, তাহলে আপনাকে দুর্গাপুর স্টেশন নামতে হবে। বাস এলে দুই নম্বর জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত মুচিপাড়া নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে একই পথ ধরে আপনি ইছাই ঘোষের দেউলে পৌঁছে যাবেন। তাই পুজোতে দূরে কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা না থাকলে, হাতের কাছে দেউল পার্ক থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
Nayan Ghosh






