আরও পড়ুন: বহু প্রতীক্ষার বন্দে ভারতকে স্বাগত জানাতে স্টেশনে স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়
ভারতের এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনটি দেখতে প্রত্যেকটি স্টেশনে কার্যত উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। আর এই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যাত্রার সঙ্গী হয়েছিল নিউজ ১৮ বাংলা। যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা কেমন? কী কী নতুন সুবিধা যোগ করা হয়েছে বন্দে ভারতে? মেনুতেই বা কি ছিল? সবকিছুই তুলে ধরা হল আপনাদের জন্য। পাটনা-হাওড়া বন্দে ভারতের আনুষ্ঠানিক যাত্রার সঙ্গী হয়েছিলেন দুই সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং এস এস আলুওয়ালিয়া। তাছাড়াও ছিলেন রেলের উচ্চপদস্থ অধিকারিকরা। বন্দে ভারতকে স্বাগত জানানোর জন্য বিভিন্ন স্টেশনে অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছিল রেল।
advertisement
নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কোচগুলিতে দেওয়া হয়েছে একাধিক নতুন সুবিধা। যাত্রীদের আরামদায়ক সফরের জন্য সিটে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। প্রত্যেক কামরার পিছনের সিটে যাত্রীদের জন্য দেওয়া হয়েছে ম্যাগাজিন হোল্ডার। ট্রেনের শৌচালয়ের আলোর উজ্জ্বলতা বাড়ানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে বেশি সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা। আপতকালীন পরিস্থিতির জন্য টকব্যাক দেওয়া হয়েছে। মোবাইল চার্জিং পয়েন্টগুলিকে একদম সিটের নিচেই রাখা হয়েছে। যাতে যাত্রীদের সুবিধা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় নতুন ২৫ টি ফিচার্স যোগ করা হয়েছে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। যা যাত্রীদের সফর আরও আরামদায়ক করবে।
বন্দে ভারতের মেনু নিয়েও সবার একটা আগ্রহ ছিল। উদ্বোধনী যাত্রায় পাটনা-হাওড়া রুটের বন্দে ভারতের মেনু সাজানো হয়েছিল বিভিন্ন পদ দিয়ে। বন্দে ভারতের মেনুতে ছিল ভেজ পোলাও, ডাল ফ্রাই, পনির দো পেঁয়াজা, জোয়ানের পরোটা, ড্রাই ভেজ। থাকছে গোলাপ জামুন এবং আইসক্রিম। হাওড়া পাটনা যাওয়ার পথে যাত্রীরা লাঞ্চ অথবা ডিনারে এই মেনু পাবেন। তার সঙ্গে সকালের যাত্রীদের দেওয়া হবে ব্রেকফাস্ট এবং বিকেলের যাত্রীদের দেওয়া হবে টিফিন। থাকবে চা-কফি, কমপ্লিমেন্টারি জলের বোতল ইত্যাদি। যা ধরা থাকবে টিকিটের দামের সঙ্গে ফলে ভারতের সফর আরও উপভোগ্য হয়ে উঠবে।
পাটনা-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সকাল আটটা নাগাদ পাটনা স্টেশন থেকে ছাড়বে। হাওড়া পৌঁছবে দুপুর ২:৩৫ মিনিট নাগাদ। অর্থাৎ ৬ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটে পাটনা থেকে হাওড়া পৌঁছবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। চেয়ার কারে পাটনা থেকে হাওড়া পর্যন্ত ভাড়া ১,৫০৫ টাকা। অন্যদিকে একই যাত্রাপথে এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারে যাত্রীদের খরচ করতে হবে ২,৭২৫ টাকা।
নয়ন ঘোষ