হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সমস্ত মায়েদের কাছেই এই বার্তা নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ পালনের অঙ্গ হিসেবে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল আসানসোল ডিভিশনের রেল হাসপাতালে।
বিশ্ব মাতৃ স্তন্যপান দিবস পালন করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল আসানসোল ডিভিশনের রেল হাসপাতালে। সেখানে আয়োজন করা হয়েছিল সচেতনতামূলক শিবিরের। সেখানেই শিশুদের স্তন্যপান করানোর গুরুত্ব বুঝিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, এই মুহূর্তে শিশুদের স্তন্যপান না করানো প্রবণতা দেখা যায় অনেক মায়েদের মধ্যে। যার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে শিশুর ওপর। ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের খাদ্য হিসেবে শুধুমাত্র স্তন্যপান করানো উচিত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
আরও পড়ুন - Surya Gochar: সূর্যের গোচরে ১৫ দিনে ভোলবদল, তিন রাশির জাতক-জাতিকার কপাল খুলবে
তাঁরা বলছেন, এর ফলে শিশুর শারীরিক বিকাশ ভাল হয়, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেশি তৈরি হয়। বর্তমানে অনেকেই সাপ্লিমেন্টারি ফুড ব্যবহার করেন। কিন্তু স্তন্যপান করানো সবচেয়ে উপযোগী খাদ্য শিশুদের জন্য। সদ্য মা হওয়া মহিলা থেকে শুরু করে যারা আগামী দিনে শিশুর জন্মদান করবেন বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন - অপেক্ষার অবসান, এক ক্লিকেই নাগরিক পরিষেবা,ডায়মন্ড হারবার পুরসভার হোয়াটস অ্যাপ নম্বর চালু
জানা গিয়েছে, এই দিনের এই সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল রেল হাসপাতালের উদ্যোগে। সেখানে চিকিৎসাধীন সমস্ত মায়েদের কাছে এবং সন্তানসম্ভবা মহিলাদের কাছে এই বার্তা তুলে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আগামী সাত অগাস্ট পর্যন্ত বিশ্ব মাতৃ স্তন্যপান সপ্তাহ পালন করা হবে হাসপাতালে। তাঁর জন্য একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। স্তন্যপান করানোর ফলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় বা শিশুর কি কি উপকার হয়, সেই সমস্ত বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। পাশাপাশি স্তন্যপান না করালে শিশুর এবং মায়েদের কি ক্ষতি হতে পারে, সেই বিষয়গুলি চিকিৎসকরা তুলে ধরেছেন। মায়েদের এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন করা হয়েছে।
এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, সঠিক সময় পর্যন্ত স্তন্যপান না করালে শিশু শারীরিক বিকাশ যেমন কম হতে পারে, এমনভাবেই শিশুর নানা রকম অসুস্থতার সম্মুখীন হতে পারে। ভবিষ্যতেও শিশুটি নানারকম শারীরিক দুর্বলতা বা অন্যান্য রোগের শিকার হতে পারে। তাছাড়াও সাপ্লিমেন্টারি ফুডগুলি অনেক সময় শিশুকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ দিতে পারে না। ফলে শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। সেজন্য স্তন্যপান করানো কতটা জরুরি, সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন চিকিৎসারা।
Nayan Ghosh