আরও পড়ুন: ক্লাবের নাম থেকে দেবী ঝংকার কালী পরিচিতি পান
বুদবুদের বিখ্যাত ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা গিয়েছে, পরিবারের পূর্বতন কর্তা মনোহরলাল ভট্টাচার্য এই পুজো শুরু করেন। তিনি একবার নবদ্বীপ গিয়েছিলেন গঙ্গাস্নান করতে। সেখান থেকে ফিরে এসে দেবীর নির্দেশ পেয়ে পুজো শুরু করেন। সে সময় আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকলেও পরে দেবীর কৃপায় সুষ্ঠুভাবেই পুজো সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন বলে এই পরিবারটি বিশ্বাস করে। পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৭০১ সালে এই পুজো শুরু হয়েছিল। যা আজও বহমান।
advertisement
এই পুজোয় আরও বিশেষ কিছু নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপুজোর আয়োজনে পরিবারের কোনও মহিলা সদস্য অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এটাই নাকি পুজোর অন্যতম নিয়ম। যদিও কালী পুজোর সময় দেবীকে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয়। দেবীর ভোগ প্রসাদ খাওয়ানো হয় স্থানীয় মানুষজনকে। ভট্টাচার্য পরিবারের যে সমস্ত সদস্যরা বাইরে থাকেন তাঁরা কালীপুজোর সময় বাড়ি ফিরে আসেন।
কোটা গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারের এই কালীপুজো এখন গোটা গ্রামের উৎসবে পরিণত হয়েছে। গ্রামের সমস্ত মানুষ এই পুজোর আয়োজনে সহযোগিতা করেন। কিন্তু ৩২২ বছর আগে যে নিয়মে পুজো শুরু হয়েছিল তার বদল এখনও হয়নি। পুরনো নিয়মেই হয়ে চলেছে ভট্টাচার্য পরিবারের পুজো।
নয়ন ঘোষ