স্থানীয়দের বিশ্বাস, আমরা যেমন প্রকৃতির পুজো করি। অগ্নিদেবের পুজো করি। তেমনভাবেই জলদেবতার পুজো করা উচিত। তাঁকে সন্তুষ্ট রাখতে পারলে, জল থেকে কোনও বিপদ হবে না। তাই জলদেবতাকে নিবেদন করা হয় কলাগাছের ভেলা। স্থানীয়দের মনের এই বিশ্বাস থেকেই বছরের পর বছর ভেলা ভাসা উৎসব পালন করেন সিলামপুর গ্রামের মানুষ। পাড়া ভিত্তিকভাবে তৈরি করা হয় কলাগাছের ভেলা। সেটিকে রংবেরঙের বিভিন্ন রকম ফুল ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়। তারপর দেওয়া হয় পুজো। সেই ভেলার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় স্থানীয় মানুষজনের মঙ্গল কামনা। গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ যাতে সুস্থ স্বাভাবিক থাকেন, জল থেকে যাতে কোনও রকম বিপদ, আপদ না হয়, সেই প্রার্থনা করেন তাঁরা। তারপর সকলে মিলে জলাশয়ের পাশে জড়ো হন। তারপর কলাগাছের তৈরি ভেলা জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। জলদেবতাকে সন্তুষ্ট করতে গ্রামবাসীরা করেন নিবেদন। সিলামপুর গ্রামে বহু বছর ধরে এই রীতি চলে আসছে।
advertisement
প্রত্যেক বছর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামের মানুষজন আনন্দে মেতে ওঠেন। গ্রামের বাইরে যারা থাকেন, তারাও এই একটি দিনের উৎসবের জন্য গ্রামে আসেন। পাশাপাশি বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকেও এই ভেলা ভাসা উৎসব দেখতে আসেন অনেকে। কাজের জন্য, পড়াশোনার জন্য গ্রামের বাইরে থাকেন অনেকেই। কিন্তু গ্রামের ঐতিহ্যের এই উৎসবকে এড়িয়ে যান না কেউ। ভেলা ভাসা উৎসবের দিন সমগ্র গ্রামের, গ্রামবাসীদের মঙ্গল কামনায় সকলেই শামিল হন।