খাদান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বিগত পাঁচ-ছয়মাস ধরে খনিগুলি চালানোর জন্য সরকারি কোষাগারে যে অর্থ জমা করা হয়, তা বন্ধ রয়েছে। ফলে এই সময় খাদানগুলি চালালে, তা বেআইনি ভাবে চালানো হবে। সেজন্য সরকারি নির্দেশে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে খনিগুলি। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন খাদান মালিক থেকে শুরু করে এইকাজের সঙ্গে যুক্ত সকলেই।
advertisement
এমত অবস্থায় খাদান মালিকরা জেলা শাসকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যাতে দ্রুত খাদান গুলি শুরু করা যায়। তারা সকলেই সরকারি কোষাগারে রাজস্ব দিতে প্রস্তুত। পাশাপাশি খাদান চালানোর জন্য যা যা বৈধ কাগজপত্র প্রয়োজন, সে বিষয়েও তারা সচেষ্ট। কিন্তু খাদান গুলি বন্ধ হয়ে থাকার ফলে, মালিকপক্ষ, ক্র্যাসার এবং কর্মচারী সকলেই চরম আশঙ্কায় দিন গুনছেন। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অনেকেই আন্দোলন করছেন। এই কাজে পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত মানুষও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের রাজস্বের অনেক ক্ষতি হচ্ছে, বলেও তারা মন্তব্য করছেন। তাদের দাবি, আসানসোল এলাকার পাথর খনি গুলি বন্ধ রয়েছে। উল্টে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে এখানে পাথর বিক্রি হচ্ছে। ফলে রাজ্যের মুনাফা নষ্ট হচ্ছে। তাই খাদান মালিকপক্ষের অনুরোধ, প্রশাসন দ্রুত যেন এই বিষয়ে পদক্ষেপ করে। খাদানগুলি শুরু করার অনুমতি যাতে দেওয়া হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
দীর্ঘ দিন ধরে খাদানগুলি বন্ধ থাকার ফলে, সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন এই কাজে সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা। এই কাজের ওপর নির্ভর করেই তাদের সংসার চলে। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার ফলে সমস্যা বেড়েছে অনেক। লকডাউনের মতো কঠিন সময় পার করে কর্মহীন হয়েছেন তারা। কোনওক্রমে দিন গুজরান করছেন সকলেই। কখনো কখনো পথ খুঁজে না পেয়ে, মালিকপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছেন। কিন্তু খাদানগুলি বন্ধ থাকার ফলে, মালিকপক্ষও তাদের পাশে দাঁড়াতে পারছে না। ক্র্যাসার মালিকরাও বলছেন, তারা সকলেই সরকারি নির্দেশ মেনে খাদান গুলি চালাতে প্রস্তুত। তার জন্য সরকারি কোষাগারে ধার্য করা রাজস্ব তারা দিয়ে দেবেন। কিন্তু খাদানগুলি চালু না করলে, বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই জেলা শাসকের সামনে দরবার করে তারা অনুরোধ জানিয়েছেন, সরকার যাতে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে।