সবাই খুদে ভাইরাল গায়কের জন্য জানিয়েছেন শুভকামনা। অবশেষে লোকাল ১৮ বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল সেই খুদের কাছে। নাম শুভঙ্কর কিসকু। বাড়ি আসানসোলের সিদাবাড়ি এলাকায়। আসানসোল পুচড়া বিদ্যালয়ের ছাত্র ‘ভাইরাল’ শুভঙ্কর কিসকু।
স্বাধীনতা দিবসে বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে গান করে নজর কেড়েছে শুভঙ্কর। বিদ্যালয়ে গান করার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় যাওয়া মাত্রই হু হু করে ভিউ আসতে শুরু করে। ইউজারদের পছন্দের তালিকায় চলে আসায় অনবরত চলতে থাকে শেয়ার। খালি গলায় ছোট্ট শুভঙ্করের গান সকলের মন কেড়েছে। সত্যিই তা অনবদ্য।
advertisement
আসানসোলের সিদাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্কর। বাড়িতে রয়েছেন তার বাবা, মা, দিদি এবং দাদা। বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। মা গৃহবধূ। শুভঙ্করের দাদা পুঁচড়া বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। বিদ্যালয়ে শুভঙ্করের দাদা মেধাবী ছাত্র বলেই পরিচিত। বিদ্যালয়ে শুভঙ্করও পড়াশোনায় গাফিলতি করে না। কিন্তু গানের প্রতি শুভঙ্করের আলাদা একটা ভক্তি হয়েছে। তবে ছোট থেকে কোনওদিন সে গানের তালিম নেয়নি। কিন্তু ছোট থেকেই তার গলায় সুরের মেলা। ফোন দেখে বিভিন্ন গান রপ্ত করে ফেলে শুভঙ্কর। তারপর খালি গলায় গান করে মোহিত করে তুলতে পারে সকলকে।
শুভঙ্কর জানিয়েছে, তার প্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং। তবে সব ধরনের গানই তার পছন্দ। আর যে গানটাই শুভঙ্করের মনে লাগে, তা নিমেষেই নিজের গলায় তুলে ফেলে ছোট্ট এই পড়ুয়া।
আরও পড়ুন: খানিকক্ষণেই ধেয়ে আসছে বৃষ্টি! দক্ষিণবঙ্গের এই তিন জেলায় ঝাঁপিয়ে বর্ষার দাপট, জানুন ওয়েদার আপডেট
পুঁচড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, যদি এই ছোট্ট শুভঙ্করকে ঠিকমতো তালিম দেওয়া যায়, তাহলে তার ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হতে পারে। আগামী দিনে বড় বড় মঞ্চে দেখা যেতে পারে শুভঙ্করকে। তার গান যে কোনও মানুষের মন কেড়ে নিতে পারে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভঙ্করের গান ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তার কদর আরও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। তবে সেসবের দিকে খেয়াল ছিল না শুভঙ্করের। বিদ্যালয়ে এসে পড়াশোনা করতেই ব্যস্ত ছিল সে।
অরিজিৎ সিংয়ের গান ছাড়াও দেশাত্মবোধক গান করতে পছন্দ করে এই খুদে। তবে নিজের প্রতিভা সম্পর্কে এখনও ততটা অবগত নয় শুভঙ্কর। গান করে যে একটা বড় জায়গায় পৌঁছানো যায়, সে ধারণাও এখনও এই পড়ুয়ার নেই। তবে ভাললাগা থেকে খালি গলায় গান করে টেক্কা দিতে পারে অনেককেই।
Nayan Ghosh