কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কুলডিহাতে আয়োজন করা হয়েছে জঙ্গলমহল উৎসব (West Bardhaman News)। ফুটবল ময়দানের বিশাল এলাকাজুড়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার অনুষ্ঠানের সূচনা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তাছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবী টুডু সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা।
advertisement
এই জঙ্গলমহল উৎসবে মূলত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের একাধিক স্টল খোলা হয়েছে। তাছাড়াও হস্তশিল্পের একাধিক কাউন্টার খোলা হয়েছে (West Bardhaman News)। এছাড়াও মেলায় আগত মানুষের ভিড়ে দু পয়সা রোজগার করতে ফুটবল ময়দান চত্বরে হাজির হয়েছিলেন একাধিক ছোট ব্যবসায়ী এবং হকাররা। জঙ্গলমহল উৎসবের সূচনার দিন থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় মানুষ। প্রতিটি কাউন্টার এবং স্টলে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে এদিন করোনার বিধিনিষেধ মেনে ময়দানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে মানুষ জনকে। তাছাড়াও উৎসবস্থলে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই জঙ্গলমহল উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ঝাড়গ্রামে। তবে যেভাবে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে, তার ফলে সিদ্ধান্ত বদল করে সরকার (West Bardhaman News)। জঙ্গলমহল উৎসবকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভেঙে ফেলা হয়। অষ্টম বর্ষের জঙ্গলমহল উৎসব কাঁকসার কুলডিহা ময়দানে যেমন হচ্ছে, ঠিক তেমনভাবেই জঙ্গলমহলের অন্তর্গত অন্যান্য জেলাগুলিতেও পালিত হচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমান ছাড়াও, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলাগুলিতেও পালিত হচ্ছে উৎসব। পাশাপশি ঝাড়গ্রামে ও জঙ্গলমহলে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে খবর।
সংক্রমনের জেরে রাজ্যে জারি করা হয়েছে বিধি-নিষেধ। বিধি নিষেধের কথা মাথায় রেখে ঐতিহ্যশালী জয়দেব কেন্দুলি মেলা ছোট করে আয়োজন করা হয়েছিল। তাছাড়াও একাধিক মেলা, বিধিনিষেধের জেরে স্থগিত করেছেন উদ্যোক্তারা। অনেক মেলা চলতি বছরের জন্য বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জঙ্গলমহল এবং গ্রামীণ এলাকার মানুষ কিছুটা উৎসবের আমেজ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। তবে জঙ্গলমহল উৎসব আয়োজনের ফলে স্থানীয় মানুষজন, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারছেন বলে দাবি করেছেন অনেকে।
Nayan Ghosh