জানা গিয়েছে, পলাতক অপরাধীর নাম ভুবন নিয়োগী। সে একটি ডাকাতির মামলায় ফুলঝোরের উপ সংশোধনাগারে বন্দি ছিল। গতকাল পাঁচিল টপকে ফেরার হয়ে যায় সে। এরপর মলানদিঘির জঙ্গল থেকে অভিযুক্ত ওই বন্দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই বন্দিকে গ্রেফতার করে পলাতক অন্য দুই বন্দির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত রবিবার তিনজন সংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায়। বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় সংশোধনাগারে৷ ডিআইজি কারা সহ অনান্য পুলিশ আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেন। পলাতক তিন বন্দীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। সেই ঘটনার তদন্তে অভিযুক্ত ভুবন নিয়োগীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে তবে অন্য দুই বন্দি এখনও ফেরার।
advertisement
জানা গিয়েছে, পলাতক বন্দির নাম ভূবন নিয়োগী। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগরে। অন্ডাল থানায় ডাকাতির মামলা আছে ভুবনের বিরুদ্ধে। মহম্মদ শাহাবুদ্দিন আর এক বন্দির বাড়ি জামুড়িয়ার শ্রীপুর মোড়ে। শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে কুলটি থানা সহ দেওঘর, মধুপুর রেল পুলিশে ডাকাতির মামলা আছে। অন্যদিকে নেপাল মৃধা নামের এক পলাতক বন্দির বাড়ি ঝাড়খন্ডের জামতাড়া এলাকায়। পান্ডবেশ্বর থানায় নেপালের নামে খুনের মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত নেপাল মৃধা এবং মোহম্মদ শামসুদ্দিনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে ধৃত ভুবন নিয়োগীকে জেরা করেও তাদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত সাত বছর আগে একবার তিনজন বিচারাধীন বন্দি গেটের রক্ষীদের মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে চিন্তা বেড়েছে সংশোধনাগারের দায়িত্ব থাকা আধিকারিকদের।
Nayan Ghosh