কারখানার কর্মচারীরা বলছেন, ইতিহাস রচিত হল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায়। কারণ, যেসব কর্মী - আধিকারিকরা সেপ্টেম্বর মাসে এখান থেকে অবসর নেবেন, তাদের হাত দিয়ে এই কারখানায় উৎপাদিত চলতি আর্থিক বছরের ২০০ তম বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু হল। তাদের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন সিএলডব্লুর জেনারেল ম্যানেজার সতীশ কুমার কাশ্যপ। অন্যদিকে, এই স্বীকৃতির সঙ্গেই চিত্তরঞ্জন আরও একটি বিষয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখল। তা হল, রেকর্ড সময়ে ২০০ তম ইঞ্জিনের উৎপাদন। গত আর্থিক বছরে যেখানে ২০০ তম ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু হয়েছিল ৮ অক্টোবর। সেখানে চলতি আর্থিক বছরে ২৬ সেপ্টেম্বরেই সেই কৃতিত্ব অর্জন করা হয়ে গিয়েছে। যা চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ বক্সের মুকুটে সাফল্যের নতুন পালক হিসেবে যোগ হয়েছে।
advertisement
এ বিষয়ে কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সতীশ কাশ্যপ বলেছেন, রেল কর্মীদের অভাবনীয় এই সম্মান প্রদানে সংস্থার প্রতি অন্যান্য কর্মীদের ভালোবাসা আরও বৃদ্ধি পেল। এই প্রসঙ্গে জেনারেল ম্যানেজার টিম সিএলডব্লু-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সঙ্গে তিনি বলেছেন, এবছর ইঞ্জিন নির্মাণের অতি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সরবরাহের ক্ষেত্রে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, যেভাবে রেকর্ড সময়ে ২০০ ইঞ্জিন উৎপাদন সম্ভব হয়েছে, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। উল্লেখ্য, ২৬ সেপ্টেম্বর কারখানার ১৯ নম্বর শপের টেস্ট শেড থেকে (ডব্লু এ জি-৯) ২০০ তম ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু হয়েছে। যা ভারতীয় রেলের কাছে যেমন নয়া সাফল্য, তেমনি সাফল্য চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের কাছেও।
Nayan Ghosh