কাজের পাশাপাশি ফ্যাশন ও গ্ল্যামার জগতে সুস্মিতার আগ্রহ বহুদিনের। তিনি প্রথম র্্যাম্পে হাঁটেন কর্পোরেট সংস্থা আয়োজিত একটি ফ্যাশন শোয়ে। সেই প্রতিযোগিতায় সুস্মিতা প্রথম স্থান দখল করেন। তবে এখানে থেমে থাকা নয়, আরও বড় প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন তিলে তিলে। অংশ নিয়েছিলেন মিসেস বেঙ্গালুরু ফ্যাশন প্রতিযোগিতায়। দেশের বিভিন্ন শহরের পাঁচ হাজার প্রতিযোগীকে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয় ১৮-ই আগস্ট।
advertisement
জানা গিয়েছে, সেখানে সকল প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে মিসেস বেঙ্গালুরু খেতাব জিতে নিয়েছেন সুস্মিতা। এরপর রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতা 'মিসেস কর্নাটকা' খেতাব জেতেন সুস্মিতা। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর ৩০০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতাটি হয় রাজস্থানের জয়পুরে। এরপর হয় চূড়ান্ত পর্যায়ের মিসেস ইন্ডিয়া আইকন প্রতিযোগিতা। ওয়াই এস ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন উইক সংস্থা আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয় বেঙ্গালুরু সিটিতে চলতি মাসের ২ তারিখ। ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি নিয়ে এই প্রতিযোগিতাই অংশ নেন সুস্মিতা। প্রতিযোগিতায় ছিল দেশের বাছাই ৮০ জন প্রতিযোগী। সবাইকে পেছনে ফেলে 'মিসেস ইন্ডিয়া আইকন' মুকুট জিতে নিয়েছেন সুস্মিতা।
সুস্মিতার এই সাফল্যে এখন খুশির হওয়া অন্ডালের উখরার দাসপাড়ায় তার শ্বশুরবাড়িতে। সুস্মিতা দেবীর শ্বশুর প্রাক্তন খনি কর্মী মুরলিধর দাস এদিন বলেছেন, বৌমা গুণবতী জানতাম। কিন্তু ফ্যাশনে তার এই প্রতিভার কথা জানা ছিল না। তার সাফল্যে আমরা খুশি। বৌমার সব ইচ্ছা পূরণ হোক, এটাই আমি চাই। আমরা সবাই বৌমার বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছি বলে জানিয়েছেন মুরলীধর বাবু। সুস্মিতা সুনা দাস জানিয়েছেন তিনি সুস্মিতা সেনের ভক্ত। তাকে দেখেই ফ্যাশন ও গ্ল্যামার জগত সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি হয়। তাকে অনুসরণ করেই এই সাফল্য এসেছে বলে জানিয়েছেন সুস্মিতা দেবী। সুস্মিতা সেনের পথ অনুসরণ করে আগামী দিনে ফ্যাশন ও গ্ল্যামার জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান বলে জানিয়েছেন আর এক সুস্মিতা।
Nayan Ghosh