প্রসঙ্গত, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অবাঙালি এবং হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা রাজ্যের অন্য জেলাগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি। স্বাভাবিকভাবেই দুর্গাপুজো বা কালীপুজো উপলক্ষে যেভাবে উৎসবের আমেজ শহরে ধরা পড়ে, তেমনভাবেই জেলার আরও একটি বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে এই ছট পুজো। হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের এই পুজো উপলক্ষে শহরের একটি বড় অংশের মানুষ উৎসবের আনন্দ মেতে ওঠেন। আসানসোল, দুর্গাপুর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ছট পুজোর দিন দেখা যায় শোভাযাত্রা।
advertisement
দামোদর, অজয় নদীর বিভিন্ন ঘাটগুলি ছাড়াও বিভিন্ন জলাশয়ে পালিত হয় ছট পুজো। স্বাভাবিকভাবে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হয় সেই ঘাটগুলি। বহু লোকের সমাগম হয় সেখানে। চলতি বছরের তার অন্যথা হয়নি। আর এসব আয়োজনের জন্য ছট পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের যেমন ব্যস্ততা থাকে, তেমনভাবেই নিরাপত্তা এবং আয়োজন ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা, সেই সমস্ত দেখার জন্য ব্যস্ততা থাকে প্রশাসনিক মহলেও।
আরও পড়ুনঃ পথ শিশুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠলেন টলি অভিনেত্রী, খাওয়ালেন পাতপেড়ে!
উল্লেখ্য, ছট পূজা শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকেই পুলিশের পদস্থ কর্তারা পরিদর্শন শুরু করেছেন। ছট পুজো উপলক্ষে বিশেষভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সজাগ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক বিভাগকে। পাশাপাশি যেহেতু ছট পুজো বিকেলের পর থেকে শুরু হয়, তাই জন্য প্রত্যেকটি ঘাটে আলোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জলে নেমে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না হয়, তার জন্য প্রত্যেক ঘাটে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ছট পুজার আগে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পানাগড় বাজারে ঘাট পরিস্কার
এমত অবস্থায় ছট পুজোর আয়োজন কেমন হয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন আসানসোল পৌরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায়। পরিদর্শন শেষে তিনি জানিয়েছেন, ছট পুজো উপলক্ষে আয়োজন খুব ভালো হয়েছে। এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আসানসোলের মেয়র।
Nayan Ghosh