ট্রেনটি হাওড়া দিল্লি মেন লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে পড়ে দীর্ঘক্ষন। জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষন ধরে লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন চালু না হওয়ায় স্টেশনে নেমে পড়েন যাত্রীরা। খবর দেওয়া হয় মানকর স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজারকে। পরে ইঞ্জিন মেরামতের জন্য রেলের আধিকারিকরা হাজির হন। কিন্তু লোকাল ট্রেনের বিকল হয়ে যাওয়া ইঞ্জিনটিকে চালু করা সম্ভব হয়ে ওঠে নি। প্রায় দু'ঘন্টা ধরে মানকর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার পরে অন্য একটি ইঞ্জিন আনা হয় ওই ট্রেনটিকে চলানোর জন্য। কারণ লোকাল ট্রেনটি মেন লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকায় অন্যান্য ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। পাশাপাশি, ওই লোকাল ট্রেনে থাকা যাত্রীদের ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই ওই লোকাল ট্রেনটিকে গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য, নিয়ে আসা হয় ভারতীয় রেলের কার্গো বহনকারী ইঞ্জিন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ Paschim Bardhaman: মাতৃত্ব! নিজের জীবন দিয়ে বোঝাচ্ছে একটি সারমেয়
একদিকে যখন ওই লোকাল ট্রেনটিকে গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চলছিল, তখনই বর্ধমান থেকে আসানসোলগামী আরও একটি লোকাল ট্রেন হাজির হয়। সেই সময় বিকল হয়ে যাওয়া ট্রেনের যাত্রীরা, পরবর্তী ট্রেনে চেপে গন্তব্যের দিকে রওনা দেন। আর কার্গো ইঞ্জিনের সাহায্যে বিকল হয়ে যাওয়া লোকাল ট্রেনটিকে নিয়ে আসা হয় পানাগড় স্টেশন। সেখানেও বেশ কিছুক্ষণ ইঞ্জিন মেরামত করার চেষ্টা চালানো হয়। তবে সেখানেও আধিকারিকরা বিফল হলে, ওই কার্গো ইঞ্জিনের সাহায্যেই ট্রেনটিকে থেকে আসানসোল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিগামী মেন লাইনের ওপরে লোকাল ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ার ফলে বহু দিল্লিগামী ট্রেন, লোকাল ট্রেন স্লো লাইন দিয়েই পারাপার করানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Krishok Ratna: কৃষকরত্ন সম্মান তুলে দেওয়া হল জেলার সেরা কৃষকদের হাতে
এই ঘটনা সম্পর্কে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হটাৎ করেই স্টেশনে ঢোকার পরই লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। মেরামতের চেষ্টা করেও বিফল হন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। পরে অন্য একটি ইঞ্জিনের সাহায্যে ট্রেনটিকে পানাগড় স্টেশনে আনা হয়। সেখানেও বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পর, অবশেষে লোকাল ট্রেনটিকে অন্য ইঞ্জিনের সাহায্যেই আসানসোল পাঠানো হয়।
Nayan Ghosh