সিবিআই আদালতে মামলা চলাকালীন এমন শ্রমিক দরদী রূপে দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। যদিও অনুব্রতকে বিচারক জানিয়ে দেন, সমস্তটাই আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে চলছে। আপনার মুখের কথায় কিছু হবে না। আপনার আইনজীবীকে বলুন, লিখিতভাবে আবেদন জানাতে। তারপর সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ মা, মা…! চোখের নিমেষে ছিটকে পড়ল ৩ বছরের মেয়ে, মায়ের সামনেই ছিন্নভিন্ন শিশু
advertisement
‘আপনাকে রোগা লাগছে’, শুনানি চলাকালীন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এমনই প্রশ্ন ছুড়ে দেন অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। উত্তরে কেষ্ট বলেন শরীর ভাল নেই। ওজন কমছে। নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতে হচ্ছে। একাধিক ওষুধও খান রোজ।
এ দিকে, প্রশ্ন উঠছে এ বারে কি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন অনুব্রত মণ্ডল? গরু পাচার মামলায় প্রথমে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন। বেশ কয়েক মাস বন্দি ছিলেন আসানসোল সংশোধনাগারে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির তিহার জেল। দীর্ঘদিন ধরে চলছে আইনি প্রক্রিয়া। এ বার কি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন কেষ্ট?
আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়! নাবালিকার সঙ্গে সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটাল যুবক! চাঞ্চল্য
আজ আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তার শুনানি ছিল। সওয়াল-জবাব চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডল বিচারকের কাছে জানতে চান, তিনি কি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন? উত্তরে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আইন সবার জন্য সমান। অবশ্যই তিনি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের মামলাটি দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে ইডি। এই বিষয়ে শুনানি চলার সময় অনুব্রত মণ্ডল বিচারকের কাছে প্রশ্ন করেন, ইডি কেন তাঁর মামলাটি দিল্লিতে নিয়ে যেতে চাইছে? সাক্ষীদের দিল্লি যেতে সমস্যা হবে। তখন বিচারক বলেন, মামলাটির শুনানি এখনও শেষ হয়নি। ১৯ অগাস্ট এই আদালতেই মামলার শুনানি হবে। তারপরেই আদালত ঠিক করবে, গরু পাচার মামলা স্থানান্তরিত করা হবে কি না। পরবর্তী শুনানির হবে ১২ সেপ্টেম্বর।
Nayan Ghosh