উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, পিসিবিএল কলোনিতে মূলত সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বসবাস। তাঁরা সকাল সকাল অফিসে চলে যান। তাই বাড়িতে সময় কাটানোর জন্য গৃহিণীরা উদ্যোগ নিয়ে শীতকাল জুড়ে ফুলের গাছগুলিকে বড় করে তোলেন। এই ভাবেই তাঁদের সময় অতিবাহিত হয়। নিজেদের উদ্যোগে পরিশ্রম করে এলাকাটি তাঁরা সাজিয়ে তোলেন। আর যখন সমস্ত গাছগুলি ফুলের সেজে ওঠে, তখন ব্যবস্থা করা হয় এই পুষ্প প্রদর্শনীর। এবছরও তেমনটাই করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪৪ লক্ষ টাকার প্রতারণা!
এই বছর ২৭ তম বর্ষে পা দিল পিসিবিএল কলোনির এই পুষ্প প্রদর্শনী। মোট ৪৬ জন গৃহিণী পুষ্প প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সেরাদের বাছাই করে তাদের পুরস্কৃত করবে পিসিবিএল কর্তৃপক্ষ। মূলত সবুজায়নের বার্তা দিতে এই পুষ্প প্রদর্শনী শুরু হয়েছিল। যেখানে সংস্থাটিও সার্বিকভাবে কলোনির গৃহিণীদের উৎসাহিত করে। যে কারণে বাগান তৈরি বা পরিচর্যায় যারা সেরা স্থান পান তাঁদের সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হয়। নানারকম ফুল ছাড়াও থাকে সবজির বাহার। সঙ্গে থাকে বাগান সাজানোর জন্য কিছু কুঠির শিল্পের ব্যবহার। পিসিবিএল কর্তৃপক্ষ চায়, নিজের কর্মীরা যে জায়গায় বসবাস করেন, সেই জায়গায় সবুজায়ন বেশি হোক। যে কারণে এমন উদ্যোগের পাশে থাকে সংস্থা। সারা বছর ধরেই এই কলোনিতে নানারকম ফল, ফুল, সবজি বাগান করা হয়। তবে পুজোর পর থেকে চার মাস ভীষণভাবে পরিশ্রম করেন স্থানীয় মহিলারা। সংসার সামলে বাগান পরিচর্যা করতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করেন তাঁরা।
নয়ন ঘোষ





