আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে নতুন রূপে সজ্জিত আসানসোল স্টেশন পেতে চলেছেন জেলার মানুষ। আসানসোল স্টেশনের পরিচিত মেরুন রঙের বদল করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। পার্ল হোয়াইট রঙে সেজে উঠেছে স্টেশনটি। কিন্তু কেমন হবে নতুন রূপে সেজে ওঠা আসানসোল স্টেশন? জানিয়েছেন ডিআরএম চেতন নন্দ শর্মা।
আরও পড়ুন ঃ ঝড়ের গতিতে চলে গেল বন্দে ভারত, শুধু তাকিয়ে দেখল ‘বঞ্চিত’ দুর্গাপুর
advertisement
জানা গিয়েছে ৪৩১ কোটি টাকা ব্যয় করে আসানসোল স্টেশনকে একেবারে বিমানবন্দরের ধাঁচে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তার নকশাও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। বিমানবন্দরের ধাঁচে সেজে ওঠা আসানসোল স্টেশনে থাকবে যাত্রী স্বাচ্ছন্দের সমস্ত রকম পরিষেবা।
আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের মিলন ঘটিয়ে আসানসোল স্টেশন সেজে উঠবে। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে স্টেশন সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নিয়েছে রেল। স্টেশনে ঢোকার মুখেই থাকবে বিমানবন্দরের মতো মাল্টি মোড ট্রান্সপোর্টেশন। অর্থাৎ সব রকমের মানুষ যাতে একসঙ্গে স্টেশনে ঢুকতে পারেন, সেই ব্যবস্থা থাকবে।
আরও পড়ুন ঃ প্রথমবার আসানসোলে পৌঁছল বন্দে ভারত, ‘ধারদেনা করেও ট্রেনে উঠব!’ বলছেন বাসিন্দারা
শেষ নয় এখানেই। থাকছে আরও নানারকম পরিষেবা। যাত্রীদের বসার জন্য থাকছে বিশাল লাউঞ্জ। থাকবে ক্যাফেটেরিয়া। একইসঙ্গে থাকবে মল। বিমানবন্দরের মতোই স্টেশনে ব্যবস্থা রাখা হবে লিফট, এস্কেলেটর। যাত্রীদের স্টেশনে এসে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, বা যাত্রীদের স্টেশনে এসে যাতে বোরিং ফিল না হয়, তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হবে।
স্টেশনটিকে আধুনিকতার সঙ্গে সাজিয়ে তোলা হলেও, থাকবে পুরনো ভবনটিও। স্থানীয় সংস্কৃতির ছাপ থাকবে নতুন সেজে ওঠা আসানসোল স্টেশনে। অমৃত ভারত প্রকল্পে আসানসোল ডিভিশনের আরও যে সমস্ত স্টেশনগুলিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে, সেগুলি সাজিয়ে তোলার কাজ অপেক্ষা আগেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার চেতন নন্দ শর্মা।
Nayan Ghosh