এই গ্রামের মানুষদের বিশ্বাস পীর সাহেব বা সত্যনারায়ণকে মাটির ঘোড়া দান করলেই পূরণ হবে সমস্ত বাসনা। এই গ্রামের মানুষের আশা নিরাশা চাওয়া পাওয়ার সঙ্গে তাই জড়িয়ে রয়েছে এক একটি ঘোড়ার গল্পগাথা। কেউ কেউ বলেন মনের কামনা বাসনা পীর সাহেব অর্থাৎ ভগবানের কাছে পৌঁছিয়ে দেয় এই ঘোড়া। তাই এই গ্রামের মানুষ তাদের সমস্ত মনস্কামনা ঈশ্বরের দরবারে পৌঁছে দিতে মাটির ঘোড়া দান করেন পীর বাবার কাছে।
advertisement
কথিত, আজ থেকে বহু বছর আগে গ্রামে যখন কালা জ্বর, মারণ রোগ বা বসন্ত রোগ হতো তখন এই গ্রামকে রক্ষা করতেন এই পীরবাবা বা সত্যনারায়ণ ঠাকুর। তাঁর বাহন ছিল ঘোড়া। এই ঘোড়া করে রাতে গ্রামে টহল দিতেন পীর ঠাকুর।এই গ্রামের মানুষ আজ থেকে বহু বছর ধরে এই পীর ঠাকুর বা সত্যনারায়ণ ঠাকুরকে গ্রামের দেবতা হিসেবে পুজো করে এসেছেন। যাতে গ্রামের মানুষ সুস্থ সবল ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দে থাকেন।
গ্রামের এক বাসিন্দা, অশ্বিনী কুমার দেবশর্মা জানান যে, পুরো গ্রামের মানুষ তো বটেই এছাড়াও বাইরে থেকেও বহু মানুষ আসেন এই পীর ঠাকুরের কাছে। তাঁদের প্রত্যেকের মনের বাসনা পূরণ হলে তাঁরা এখানে এক একটি করে মাটির ঘোড়া দান করেন। এছাড়াও জানা যায় প্রতি শুক্রবার গরুর দুধ দিয়ে ক্ষীর তৈরি করে এনে এই পীরসাহেবকে এক একটি মাটির হাঁড়িতে ভোগ দেন। এমনকি পীরবাবার থানে উনুন তৈরি করে সেখানেই দুধ, চাল, চিনি , জ্বাল দিয়ে পরমান্ন তৈরি করে পীর সাহেবকে ভোগ দেন।