কালিয়াগঞ্জের যোগীপুকুর গ্রামের ছাত্রী আগমনী সরকার। পড়াশোনার ফাঁকে তাঁর গ্রামের মা-কাকিমাদের কালো মুরগি অর্থাৎ কড়কনাথ মুরগি পালনে সহায়তা করছে। বাড়িতে অভাব। পড়াশুনোর খরচ জোগাড় করতে বাবা-মাকে হিমশিম খেতে হয় । তাই কালো মুরগি পালন করে নিজের পড়াশোনার খরচ বহন করছে কালিয়াগঞ্জে -যোগীপুকুর গ্রামের ছাত্রী আগমনী সরকার। গ্রামের আগমনীরা জানে এই কালো মুরগির গুণাগুণ।এই কালো মুরগিতে যেমন রয়েছে অসুখমুক্তির জাদুকাঠি, তেমনি রয়েছে টাকার খনি। তাই গ্রামের মহিলারা শুরু করেছে কালো মুরগি পালন।
advertisement
বাড়ির পাশেই মুরগির খামারে তৈরি মুরগিদের তিনবেলা খাবার দেয় গ্রামের মহিলারা। গম, ভুট্টা, ধান, চালের কুড়াঁ, গমের ভুসি দেওয়া হয় মুরগিদের।
গ্রামের মহিলারা জানান, আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর দল গড়ে এই কড়কনাথ মুরগি পালন করছেন তাঁরা। এই মুরগি খামারে রয়েছে ৩০-৩৫ টি কালো কড়কনাথ মুরগি।
কালিয়াগঞ্জের কৃষি দফতরের আধিকারিক মৌমিতা ঘোষ জানান, আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে কড়কনাথ মুরগি দেওয়া হয়েছিল। এই মুরগির উপকারিতাও তাঁদের জানানো হয়। এরপর থেকে মহিলারা গ্রামে পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করে কড়কনাথ নাথ মুরগি পালন করছে।
এই কালো প্রজাতির মুরগি ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম পাওয়া যায়। সেখানে এই মুরগি 'অ্যায়াম কেমানি' নামেই পরিচিত। মধ্যপ্রদেশে এই কালো মুরগি 'কালো মাসি' বলে চেনে সকলে। গ্রামবাংলায় এই মুরগি কড়কনাথ মুরগি বা কালো মুরগি নামেই প্রচলিত।
পিয়া গুপ্তা