শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় কুনোরের হাটপাড়া গ্রামে কোন মৃৎশিল্পী বৈশাখ মাস জুড়ে করেন না মৃৎ শিল্পের কাজ। কালিয়াগঞ্জের কুমোরের হাট পাড়া গ্রামে বৈশাখ মাস জুড়ে কোন মৃৎশিল্পী করে না মৃৎ শিল্পের কাজ নেন না, কোনও অর্ডারের বদলে তারা এই মাসে বেছে নেয় অন্য কোন পেশা। প্রাচীন প্রথানুযায়ী চৈত্র সংক্রান্তির পর থেকে পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে বন্ধ থাকে কুমোর হাট পাড়া গ্রামে মাটির কাজ। পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে এই গ্রামের কুমোরদের চাকা ঘোরে না। তৈরি হয় না কোন ধরণের মাটির জিনিসপত্র। এই সময় কুমোরেরা বেছে নেয় অন্য কোন পেশা কেউ কেউ কৃষিকাজ কিংবা কেউ বা আবার অন্য কোন ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহন করেন। তবে সেটা শুধুমাত্র বৈশাখ মাস জুড়েই।
advertisement
আরও দেখুন
তবে দীর্ঘ এক মাস বিরতির পর জ্যৈষ্ঠ মাসের কোন এক বিজোড় শনিবারে কুমোরের চাকাতে বিশেষ পুজা পাঠের মধ্য দিয়ে নতুন করে শুরু হয় মাটির কাজ। কেন এই সময়েই বন্ধ রাখা হয় কাজ এই বিষয়ে কুম্ভকার সম্প্রদায়ের একাংশের মতে, বংশ পরম্পরাগত ভাবে এই সময় কাজ বন্ধ রাখার নিয়ম আছে এটা হল কুমোরদের একটি বিশেষ প্রথা।
জানা যায় যে লাঠি দিয়ে কুমোরেরা চাকাটা ঘোরান তা শিবের ত্রিশূল বলে তাঁরা মনে করেন। শিবের বরপুত্র হলেন রুদ্রপাল। এই রুদ্রপালের বংশধর হলেন কুম্ভকার সম্প্রদায় তাই ওনার স্মরণে এই এক মাস কাজ বন্ধ রেখে দেয় কুমোরেরা। এই সময় কাজ বন্ধ রাখার বৈজ্ঞানিক কারন হিসাবে অনেকে মনে করেন এই এক মাস সময় মাটিকে বিশ্রাম দেয় এই সময় মাটি রস শূন্য হয়।কাজ করতে অসুবিধা হয়।অন্যদিকে এখানকার মৃৎশিল্পীরা বলেন এটা সম্পূর্ণ ধর্মীয় ব্যাপার বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে তারা এই নিয়ম-নীতি পালন করে আসে।যেটা আজও তারা বহন করে যাচ্ছে।
Piya Gupta