আরও পড়ুনঃ লঙ্কার বিকল্প চুই ঝাল! চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গের এক চাষি
এদিকে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ সর্বপ্রথম নাবালিকার মা মিনতি শীলকে গ্রেফতার করে। এবং পরে নাবালিকা মেয়েটির শ্বশুরবাড়িতে গেলে সেখানে নাবালিকার স্বামী চন্দন দাস ও তাঁর পরিবারের লোকেরা পালিয়ে যাওয়ায় তাঁদেরকে ধরতে পারে না পুলিশ। এদিন এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ থানার গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের নরম কলোনি সংলগ্ন কাঠাল ডাংগিতে। জানা যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাইল্ড ম্যারেজ অ্যাক্ট, বধূ নির্যাতন ও পক্সো আইনের মামলা রজু করেছে পুলিশ।
advertisement
নাবালিকা মা মিনতি শীল বলেন যে পাঁচ বছর আগে স্বামী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় মানুষের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে তাঁকে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে বড় করতে হয়েছে। মিনতি দেবী বলেন ভাল ছেলে পেয়েছিলাম সেই কারণে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম। এমন পরিণতি হবে ভাবতে পারিনি।
এদিকে নাবালিকা মেয়েটি জানায় ইচ্ছা না থাকার সত্ত্বেও তাঁর মা জোর করে তাকে বিয়ে দেয়। এবং বিয়ের পরের দিন থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালায় তাঁর উপর। সহবাসে আপত্তি করলে তাঁর ওপর শুরু হয় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। বলপূর্বক সহবাসের চেষ্টা করার পাশাপাশি প্রাণে মারার চেষ্টা করেন স্বামী চন্দন দাস ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। এ ব্যাপারে তাঁর মাকে জানালেও নাবালিকার মা তাকে সংসার করতে বাধ্য করে।
মঙ্গলবার রাতে অত্যাচার চরমে উঠলে কোনক্রমে পালিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় নাবালিকা। নাবালিকা বধূর বক্তব্য আমি বাড়ি যাব না সরকারি হোমে থেকে পড়াশোনা করব। না হলে আমার মা ফের ওই ছেলের সঙ্গে সংসার করার চাপ দেবে। বর্তমানে ওই নাবালিকা বধূ রয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশি হেফাজতে।
পিয়া গুপ্তা