ইতিমধ্যেই দেশে অ্যাপটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সঠিক ভাবে কাজ করছে এই অ্যাপ। ফেব্রুয়ারি মাসেই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফ গ্রেটার মুম্বইয়ের (Municipal Corporation of Greater Mumbai) সঙ্গে যৌথ ভাবে সমীক্ষা চালায় Vocalis Health। ইংরেজি, হিন্দি, মরাঠি ও গুজরাতি ভাষায় ২০০০ অংশগ্রহণকারীর অডিও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রায় ৮১.২ শতাংশ পর্যন্ত সঠিক ফলাফল লক্ষ্য করা যায়।
advertisement
Vocalis Health-এর তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস চিনতে প্রথম ধাপই হল ভয়েস তথা গলার স্বর। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি সিঙ্গল ভয়েস স্যাম্পেলের দরকার হয়। খুব একটা কাঠখড় পোড়াতে হয় না। শুধু ৫০ থেকে ৭০ পর্যন্ত জোরে জোরে গুনতে হবে। এর পর ক্লাউড বেস অ্যানালিটিকসে এই অডিও ফাইলটি আপলোড করতে হবে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফলাফল এসে যাবে। সংস্থার বার্তা, ইতিমধ্যেই একাধিক সমীক্ষায় ১ মিলিয়নের বেশি ভোকাল বায়োমার্কারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ডেটা সেটগুলি নিরীক্ষণ করার পরই করোনার উপসর্গ সম্পর্কে সবিস্তারে জানা গিয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালীন একটি ভয়েস স্যাম্পল থেকে ৫০০-র বেশি লক্ষণ চিনতে সাহায্য করে অ্যাপে ব্যবহৃত AI অ্যালগরিদম। পরে এই AI অ্যালগরিদমগুলি ক্লাউডের সঙ্গে ম্যাচ করানো হয়। এক্ষেত্রে গলার স্বরের মধ্যে দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা, হেডেক, মাথাব্যথা, জ্বর-সহ একাধিক উপসর্গ খুঁজতে থাকে অ্যাপের AI অ্যালগরিদমগুলি। এই বিষয়ে Vocalis Health-এর বার্তা, একাধিক স্ক্রিনিং মেথডের মতো এই অ্যাপও অত্যন্ত কার্যকরী। ফের করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের অ্যাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, আপাতত পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে এই VocalisCheck অ্যাপ। সীমিত পরিসরে অ্যাপটির টেস্টিং চলছে। সূত্রে খবর, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোডের জন্য Play Store-এ গিয়ে প্রি-রেজিস্ট্রার করতে হবে। এক্ষেত্রে লগ-ইন ID ও পাসওয়ার্ড লাগবে। অন্য দিকে, Apple অ্যাপ স্টোরে অ্যাপটির প্রাপ্যতা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ iPhone-এ লোডিংয়ের সময়ে অ্যাপে সমস্যা দেখা গিয়েছে।
