খুব সহজ করে বললে, এই যে আমরা এখন কোনও তথ্য জানতে গেলেই গুগলের শরণাপন্ন হই, (দুনিয়ার বেশির ভাগ মানুষ গুগলকেই তাঁদের মাধ্যম হিসাবে বেছে নেন) সেটা আর করতে হবে না। উল্টো দিকে গুগলের মতো এই সব অ-সরকারি সংস্থাও আমাদের যে কোনও তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে বা পরে ব্যবহার করতে পারে, সেটাও আর সম্ভব হবে না। তখন সব কিছু হবে ব্লকচেন।
advertisement
কিন্তু ঠিক কেমন হতে পারে এই নতুন প্রজন্মের ইন্টারনেট তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছেই। তবু, আমাদের দেশে কেমন হতে পারে ভবিষ্যৎ? দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন - ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে নেই? আর ভয় নেই ! এই নিয়ম জানা থাকলে কেউ ধরতে পারবে না আপনাকে
আরও পড়ুন - আইফোনের ব্যাটারির সমস্যায় জেরবার? রইল মুশকিল আসানের পথ!
ভারতে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে WEB 3.0 -
রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্লোবাল ইনভেস্টররা ভারতের WEB 3.0 স্টার্টআপের জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ করতে রাজি। কারণ এ দেশে রয়েছে তার উপযুক্ত ইকোসিস্টেম। ভারতে রয়েছে প্রায় ৪ মিলিয়ন ইঞ্জিনিয়ার, বিশেষজ্ঞ টেকনোলজি অপারেটর এবং WEB 3.0 কমিউনিটি। একের পর এক বিনিয়োগকারী এই WEB 3.0 স্টার্টআপে কাজ করার বিষয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে কয়েনবেস ভেঞ্চার (Coinbase Ventures) ভারতে WEB 3 স্টার্টআপ নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে। একই সঙ্গে সেখানে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। ইউএই (UAE) বেসড ভেঞ্চার ক্যাপিট্যাল ফার্ম সিফার ক্যাপিট্যাল (Cypher Capital) ১০০ মিলিয়ন ডলারের ব্লকচেন ফান্ডের প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতের ক্রিপ্টো এবং ব্লকচেন ফার্মে বিনিয়োগ করেছে। আমেরিকা ভিত্তিক সংস্থা জেনারেল ক্যাটালিস্ট, জানিয়েছে ওয়েব ৩-কে তার মূল বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে ধরে তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আশাবাদী।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি WEB ১.০-র ক্ষেত্রে যে সুযোগ ভারতের হাতছাড়া হয়েছিল সে সুযোগ এ বার সোনায় আবাদ করতে পারে এ দেশকে। বেশ কিছু সংস্থা ইতিমধ্যেই ভারতে WEB ৩ স্টার্টআপ গড়ে তোলায় আগ্রহী। তারা বিভিন্ন ধরনের ক্রিপ্টো এবং ব্লকচেনে বিনিয়োগ করা শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে ভারতে WEB 3.0 হয়ে উঠতে পারে গেম চেঞ্জার।