যে ভাবে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে, একই গতিতে বাড়ছে সাইবার জালিয়াতির (cyber crime) ঘটনাও। সাইবার হ্যাকাররা নতুন কৌশল অবলম্বন করে মানুষকে প্রতারণা করছে। ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে সমস্ত আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী এবং সরকার সময়ে সময়ে অনলাইন জালিয়াতি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে চলেছে।
আরও পড়ুন - Garena Free Fire Game: কেন্দ্র নিষিদ্ধ করেছে গারেনা ফ্রি ফায়ার গেম, তবুও চলছে খেলা
advertisement
সরকার সাইবার জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার জন্য হেল্পলাইন নম্বরও জারি করেছে। অনলাইন জালিয়াতির অভিযোগের জন্য দিল্লি পুলিশ একটি নতুন হেল্পলাইন নম্বর (cyber crime helpline number) 1900 শেয়ার করেছে। আপনার সঙ্গে যদি ইন্টারনেট সম্পর্কিত অপরাধ থাকে, তাহলে আপনি এই নম্বরে কল করে আপনার অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি সাইবার ক্রাইমের (cyber crime) ওয়েবসাইট www.cybercrime.gov.in-এ ও আপনার অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারেন।
সাইবার ক্রাইম বেড়ে চলেছে
ডিজিটালাইজেশনের যুগে সাইবার অপরাধের (cyber crime) সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতারকরা মানুষকে ঠকানোর জন্য নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। প্রতারকরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষকে ঠকে চলেছে। কারন, এখন লোকেরা তাঁদের বেশিরভাগ সময় কেবল সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিতে ব্যয় করছে। সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে নানা ধরনের ছাড়ের লোভ দেখিয়ে মানুষকে ঠকছে সাইবার অপরাধীরা।
আরও পড়ুন - iPhone কিনবেন ভাবছেন? জেনে নিন কম দামে আইফোন কিনবেন কীভাবে
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাম্পার ডিসকাউন্ট, লটারি বা পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞাপনের জালে পড়ে যাবেন না। আপনিও যদি ডিসকাউন্ট বিজ্ঞাপন দেখে কিছু কেনাকাটার পরিকল্পনা করছেন, তাহলে সবার আগে সেই ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন। ওয়েবসাইটের রিটার্ন নীতিটি ভাল করে নোট করে নেবেন। যদি কিছু সন্দেহজনক মনে হয়, তাহলে কেনাকাটা করতে যাবেন না।
আপনি যদি কোনও কিছু কেনাকাটা করছেন, তাহলে শুধুমাত্র ক্যাশ অন ডেলিভারির বিকল্প বেছে নিন। এর মাধ্যমে আপনার ব্যাঙ্কের তথ্য সাইবার অপরাধীদের কাছে পৌঁছাতে পারবে না।
