বর্তমানে নতুন স্মার্টফোনের নামে পুরনো স্মার্টফোন সংস্কার করে বিক্রির অনেক ঘটনা সামনে আসছে। এই ক্ষেত্রে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, কোম্পানিগুলি গ্রাহকদের কাছ থেকে পুরনো স্মার্টফোনগুলি কেনে, যা সংস্কার করা হয়, অর্থাৎ নতুনের মতো তৈরি করা হয় এবং কম দামে বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন- একটা মেসেজ করতে গিয়ে হাজারটা বানান ভুল! জেনে নিন শুধরে নেওয়ার সহজ কৌশল|
advertisement
এই ধরনের স্মার্টফোনের অভ্যন্তরীণ অংশগুলি একই থাকে, তবে বডি পরিবর্তন করা হয়। এই ধরনের ফোন কিনতে কোনও সমস্যা নেই, তবে নতুন হিসেবে বিক্রি করা হলে তা ঠিক নয়। কেউ যদি সেলে স্মার্টফোন কেনার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। যার সাহায্যে খুব সহজেই পুরনো স্মার্টফোন চিনতে পারা যাবে।
ফোন ব্র্যান্ডিং পরীক্ষা করতে হবে -
ফোনটি নতুন না পুরনো, তা জানতে প্রথমেই প্যাকেটের ব্র্যান্ডিং চেক করতে হবে। যদি প্যাকেটে ফোনের ব্র্যান্ডিং বা বিবরণ লেখা না থাকে, তাহলে পুরনো স্মার্টফোন বিক্রির সম্ভাবনা প্রবল। অনেক ব্র্যান্ড যেগুলি সংস্কার করা স্মার্টফোন বিক্রি করে, তাদের নিজস্ব প্যাকেজিংয়ে ফোনটি পাঠানো হয়। মনে রাখতে হবে যে, সর্বদা নতুন ফোনের সঙ্গে সেই ফোনের বাক্সই দেওয়া হবে। এমনটা না হলে সেই ফোন পুরনো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফোনের অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে -
পুরনো সংস্কার করা ফোনে প্রায়শই কিছু ছিদ্র বা ব্যবহারের লক্ষণ থাকে। ফোনের পিছনের কভার, ডিসপ্লে বা সাইড প্যানেলে যদি কোনও ডেন্ট বা স্ক্র্যাচ থাকে, তবে স্পষ্টতই একটি পুরনো ফোন বিক্রি করা হচ্ছে বুঝতে হবে।
IMEI থেকে উৎপাদন তারিখ জানতে হবে -
নতুন ফোনের IMEI নম্বর থেকেও জানা যেতে পারে সেই ফোনটি নকল না কি আসল। নিজেদের ফোনে দুটি IMEI নম্বর রয়েছে, এই নম্বরগুলির যে কোনও একটি থেকে যে কেউ ফোন সম্পর্কিত তথ্য বের করতে পারবেন। এর জন্য, প্রথমেই মেসেজ ইনবক্সে KYM লিখতে হবে, এরপর ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে ১৪৪২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কেউ যদি নিজেদের ফোনের IMEI নম্বর না জানেন, তবে *#06# ডায়াল করতে হবে। আইএমইআই নম্বর স্ক্রিনে ফ্ল্যাশ হবে। ফোন তৈরির তারিখ এবং কেনার তারিখের মধ্যে যদি বড় পার্থক্য থাকে, তাহলে বুঝতে হবে পুরনো ফোন বিক্রি করা হয়েছে।
