IP রেটিং এক ধরণের সার্টিফিকেট বা লেবেল। এ থেকে হাতে থাকা স্মার্টফোন ডাস্ট এবং ওয়াটারপ্রুফ কি না এবং হলে কতটা, তা বোঝা যায়। সোজা কথায়, ধুলো এবং জল থেকে কতটা সুরক্ষিত, পরিষ্কার হয়ে যায় IP রেটিং থেকে। এই মানদণ্ড আন্তর্জাতিকভাবে সেট করা হয়েছে। স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোও ফলাও করে এর প্রচার করে।
advertisement
IP মানে কী: IP-তে দুটি অক্ষর রয়েছে I এবং P। I-এর অর্থ হল, ingress। যার বাংলা করে দাঁড়ায় প্রবেশক্ষমতা। আর P মানে Protection। অর্থাৎ সুরক্ষা বা নিরাপত্তা। অর্থাৎ ফোন ধুলো, বালি বা জল কতটা আটকাতে পারে তাই বোঝায় IP রেটিং। তার মানে এই নয় যে কেউ ময়লার মধ্যে ফোন ফেলে রাখলেন বা জলে চুবিয়ে রাখলেন। শুধুমাত্র সাধারণ পরিস্থিতিতে সুরক্ষা বা নিরাপত্তা স্তর বোঝাতেই এই রেটিং ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন- Google-এ ভুলেও এই ৬টি শব্দ সার্চ করবেন না, নইলে বিপদের যে শেষ থাকবে না
IP রেটিং কীভাবে কাজ করে: রেটিংয়ের সময় IP-এর পর দুটো সংখ্যা দেওয়া হয়। যেমন 68 বা 67। প্রথম সংখ্যা ধুলো বালি থেকে কতটা সুরক্ষিত সেটা নির্দেশ করে। ৬ মানে ডিভাইসটি সম্পূর্ণ ডাস্টপ্রুফ। দ্বিতীয় সংখ্যা জলের হাত থেকে ডিভাইসকে রক্ষা করার ক্ষমতা বোঝায়। এক্ষেত্রে ৯ মানে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১.৫ মিটার গভীর জলে স্মার্টফোন পড়ে গেলে কোনও ক্ষতি হবে না।
IP67: অনেক ফোনেই এই রেটিং দেওয়া থাকে। এর অর্থ হল স্মার্টফোন সম্পূর্ণ ডাস্টপ্রুফ। কারণ ৬ সংখ্যাটি রয়েছে। আর দ্বিতীয় সংখ্যা রয়েছে ৭। এর মানে হল, ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১ মিটার গভীর জলে স্মার্টফোন ডুবিয়ে রাখলেও কোনও ক্ষতি হবে না।
IPX4: IPX4 রেটিং থাকলে বুঝতে হবে সেই স্মার্টফোনটি ওয়াটারপ্রুফ নয়। তবে যে কোনও দিক থেকে আসা জলের ঝাপটা সহ্য করতে পারবে অনায়াসে। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে কোনও অসুবিধা হবে না। তবে ফোন যদি জলে পড়ে যায় তাহলে মুশকিল।
আরও পড়ুন- কীভাবে গিজার ব্যবহারে কম বিল আসবে? বড়সড় বিপদ এড়ানো যাবে? গিজার ভাল থাকবে বহুদিন?
IP রেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ: প্রথম বিষয় হল সুরক্ষা। IP রেটিং থাকলে বৃষ্টির মধ্যেও ফোন নিয়ে বেরনো যায়। দুশ্চিন্তা হবে না। ভুল করে যদি জলে পড়ে যায়, তাহলেও নিশ্চিন্তি। দ্বিতীয় বিষয়টা হল বিশ্বাস। জলের হাত থেকে কতটা বাঁচাবে সেটা আগেভাগেই জানা থাকে। ফলে টেনশন করতে হয় না।
